রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেখ মুজিব হত্যার পর ক্ষমতাসীনরাই মূল চাবিকাঠি ঘুরিয়েছিলেন -মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনোই নোংরা রাজনীতি করেননি, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। যারা শেখ মুজিবের হত্যার পরে ক্ষমতায় বসেছিল, তারাই এটার মূল চাবিকাঠি ঘুরিয়েছিলেন। গতকাল সকালে শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্রহীনতা চলছে। আজকে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ একটি দানব দেশকে গ্রাস করতে চলেছে। জঙ্গিবাদকে সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা না করে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার, জঙ্গিবাদকে তারা (সরকার) নির্মূল করতে চায় না। এটাকে (জঙ্গিবাদ) তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়। এজন্য তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে জঙ্গিবাদ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বৃহস্পতিবার সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে পাকিস্তানের সহায়তায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেনÑএ রকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য অনেক অলীক গল্প তারা সব সময় বলে এসেছেন। শেখ মুজিবের মর্মান্তিক হত্যার পরে ক্ষমতায় বসেছিলেন কারা? ক্ষমতায় বসেছিল আওয়ামী লীগ।
সুতরাং এটা খুব পরিষ্কার যে যারা শেখ মুজিবের হত্যার পরে ক্ষমতায় বসেছিলেন, তারাই এটার মূল চাবিকাঠি ঘুরিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের হত্যার জন্য সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু তদন্ত করা হলে দেখা যাবে যে তাদের নেতারাই এটার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনোই এই ধরনের রাজনীতি করেননি, তার এর সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে পরিবর্তন আসছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কমিটি নিয়ে অসন্তোষ বা অসন্তুষ্টি থাকতেই পারে। বিএনপি একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এই বিশাল দলের ৫০২ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সব যোগ্য নেতাকে জায়গা দেয়া সম্ভব হয়নি।
স্বাভাবিকভাবে ক্ষোভ থাকতে পারে, অসন্তোষ থাকতেই পারে। কিন্তু এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে। আমরা দেখেছি, এটা সকলের কাছে সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্যও হয়েছে। তাই পরিবর্তনের কথা বলা যাচ্ছে না। এক নেতার দুই পদ থাকবে নাÑসেক্ষেত্রে যেসব পদ খালি হবে সেখানে যারা যোগ্য তারা স্থান পেতে পারেন।
জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সমস্ত জাতিকে, সব রাজনৈতিক দলকে, ব্যক্তি ও দেশপ্রেমিক সংগঠনগুলোকে আহবান জানিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রীর এই আহ্বানটি ছিল সমস্ত জাতির প্রতি আহ্বান। এখানে দলবিশেষের ব্যাপার নয়। এই প্রক্রিয়া চলছে।
বিএনপিকে ‘নির্মূল বা ধ্বংস’ করতে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেফতার চালাচ্ছে বলে অভিযোগও করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েও এসেছে, তারা বিএনপিকে নির্মূল করতে চায়। সেজন্য মামলা-গ্রেফতার আবার বেড়ে গেছে। ওই মন্ত্রী বলেছেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য তো নয়ই বিএনপিকে নির্মূল করব। একটি গণতান্ত্রিক দেশে যদি একজন মন্ত্রী একজন দায়িত্বশীল নেতা একটি গণতান্ত্রিক দলকে নির্মূল করতে চান, তাহলে গণতন্ত্রের অবস্থান কোথায় আছে, এটা সহজে অনুমান করা যায়।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব সকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। তারা শহীদ নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মুনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু, ইয়াসীন আলী, লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আগামী ২২ আগস্ট সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা হবে বলেও জানায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শাহিন বাবু ২০ আগস্ট, ২০১৬, ২:৫৫ পিএম says : 1
আমার মনে, হচ্ছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদম ঠিক কথা বলেছেন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন