শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি

জরুরি সেবা নীতিমালা মন্ত্রিসভা অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দিলে তাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ন্ডিবিধি অনুযায়ী সাজা দেবে সরকার। জাতীয় জরুরি সেবা পরিচালনায় একটি আলাদা ইউনিট গঠন করে কমপক্ষে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন বিধান রেখে জাতীয় জরুরি সেবা নীতিমালা ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় জরুরি সেবা নীতিমালা ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দিতে সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দিতে সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সংক্রান্ত এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপদ জীবন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংকটাপন্ন মানুষকে যাতে সহায়তা করা যায়, দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। অপরাধের শিকার কোনো ব্যক্তি বা সম্পদ উদ্ধার করা যেন সহজ হয়। দুর্ঘটনায় নিপতিত মানুষকে যাতে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা এবং জান-মালের উদ্ধারসহ দ্রুততম সময়ে যাতে দুর্গতদের হাসপাতালে প্রেরণ ও সেবা প্রদান করা যায়। নীতিমালার আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগে একটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমপক্ষে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য যদি দেয় তবে সেটাও দেখা হবে, দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত হবে। তবে অনিচ্ছাকৃত বা শিশুরা ভুলে কোনো ভুল তথ্য দিলে তাদের যেন শাস্তির মুখে পড়তে না হয় তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের গাইডলাইনে জাতীয় জরুরি সেবার এই প্ল্যাটফর্ম সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজকে নির্দেশনা দিয়েছেন এটা খুবই ইফেকটিভ করে দিতে হবে। এটা এখন আরও অর্গানাইজড ওয়েতে হবে। এনটিএমসি, বিটিআরসি সবার সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট একটা কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন