সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে নড়বড়ে দশা আমেরিকার। ৯০ হাজার কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি। বেড পেতে হিমসিম খাচ্ছে। অনেক হাসপাতালেই ডাক্তার, নার্সের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে। এমনই পরিস্থিতি ভেন্টিলেটরের কমতি না থাকলেও লাগানোর মতো হাত পাওয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যেই থ্যাংকগিভিংয়ে সপ্তাহশেষের লম্বা ছুটি নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। কড়াকড়ি থাকায় শুক্রবার মূল দিনে ভিড় অনেকটাই এড়ানো গেছে। কিন্তু শনি-রোববারের পরপর ছুটি, হঠাৎই অন্তর্দেশীয় বিমানযাত্রা বেড়েছে। সবমিলিয়ে আতঙ্কের ছবি চিকিৎসক মহলে। গা-ছাড়া মনোভাবের আরও একটি কারণ ভ্যাকসিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে আমেরিকায় জরুরি ভিত্তিতে হলেও টিকা দেয়া শুরু হবে বলে খবর চাউর হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বৈঠকে বসবে নিয়ামক সংস্থা এফডিএ। খানিকটা ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েই ব্রাসেলস থেকে শিকাগোয় কার্গো বিমানে টিকা পাঠানো শুরু করেছে ফাইজার। যাতে অনুমতি মিলে গেলেই দ্রæত বণ্টন শুরু করা যায়। শুক্রবারই ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমান টিকা নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে। দিনকয়েক আগেই তারা বিমানের মধ্যে টিকার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশি করে ড্রাই আইস বহনের অনুমতি চায়। তার পরই ফ্লাইট পিছু ১৫ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ পাঁচ গুণ ড্রাই আইস বহনের অনুমতি দেয় মার্কিন ফ্লাইট নিয়ামক সংস্থা। টিকা সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর জন্য স্যুটকেস আকারের বাক্সও বানিয়েছে ফাইজার। প্রসঙ্গত, ৯৫% কার্যকারিতা হার দেখানো এ ভ্যাকসিনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন।
মডার্নাও জানিয়েছে, ডিসেম্বরে শুরুতেই তারা এফডিএ-র কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়ার জন্য অনুমতি চাইবে। দু’টিই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাই অনুমতি পেয়ে গেলে দু’কোটি আমেরিকানকে শুরুতে টিকা দেয়া সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। শুরুতে টিকা দেয়া হবে বয়স্ক এবং কোভিড-যোদ্ধাদের। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন