রাঙামাটি জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ পর্যটন জগতের একটি অন্যতম অংশ পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। জেলার বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশি-বিদেশি মানুষের মন কেড়ে নিলেও বর্তমানে তা অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যেÑ পর্যটন ঝুলন্ত ব্রিজ, সাজেক ভ্যালি, সুবলংয়ের খাড়া পাথরের পাহাড় ও ঝর্ণা এবং রাজবন বিহার অন্যতম। রাঙামাটির পাশাপাশি কক্সবাজার ও বান্দরবান পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান বটে। কক্সবাজার সাগর সমৃদ্ধ এবং বান্দরবান আকাশছোঁয়া নীলগিরি পাহাড় নিয়ে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সমাদৃত। রাঙামাটি পার্বত্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠলেও এখানে পর্যটকদের চাহিদা মিটানোর মতো অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। ইদানিং রাঙামাটিতে আগের চেয়ে পর্যটকের আনাগোনা অনেক কমে এসেছে। বিশেষ করে বিদেশিদের এ অঞ্চল ভ্রমণে এখন খুবই কম দেখা যায়।
পর্যটন কর্পোরেশনের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ উল্লাহ সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করলে তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এখন বাহির থেকে সাধারণ মানুষেরা রাঙামাটি ভ্রমণে আসে না। এর মধ্যে কারণ হচ্ছে রাঙামাটিতে আবাসন ব্যবস্থার সংকট ও দাম বৃদ্ধিসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন পাহাড়ী ও বাঙালির সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে হরতাল ও অবরোধ প্রায় সময় লেগে থাকে তাছাড়া বৃহৎ হ্রদবিশিষ্ট গভীর জঙ্গলাকীর্ণ স্থানসমূহে যোগাযোগ ব্যবস্থার নিরাপত্তা না থাকার কারণে বর্তমানে রাঙামাটিতে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। একই ধরনের মত পোষণ করেছেন রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহম্মেদ। রাঙামাটির শহরে অন্যতম আবাসিক হোটেল ড্রিমল্যান্ডের মালিক মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, রাঙামাটি পর্যটনের অপার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকলেও ইদানিংটা আরো সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে। যেমন, রাঙামাটি শহরে রাজবাড়ী সংলগ্ন রাজবন বিহারে ইতিপূর্বে পর্যটকরা সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ পেলেও এখন কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি দিচ্ছে না। পাহাড়ে খুন অপহরণ ও চাঁদাবাজির একটা ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হয়ে পর্যটকরা এ অঞ্চল ভ্রমণে এখন নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন