করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব। বছরের চাকা ঘুরতে চলেছে। কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা কিংবা কমে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আর প্রায়ই গবেষণায় উঠে আসছে বিভিন্ন ধরণের উপসর্গের তথ্য। লক্ষণ না থাকার পরও করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয় নমুনা পরীক্ষায়। এর কারণও গবেষণায় বেরিয়েছে।
এবার এক নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে একটি গবেষণা সংস্থা। করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হলেও তার জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা। তারা বলছে, রোগী সুস্থ হওয়ার পরও টানা তিন মাস পর্যন্ত ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা থাকে না। তিন মাস পার হওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবকি কার্যক্ষমতায় ফিরতে শুরু করে ফুসফুস।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে ওই পেয়েছেন। গবেষক দলটি ফুসফুসের এমআরআই পরীক্ষায় জেনন নামে এক ধরনের গ্যাস ব্যবহার করেন।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে পরীক্ষার ফলে ফুসফুস কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার আগে রোগীকে নিঃশ্বাসর সঙ্গে একটু জেনন গ্যাস নিতে বলা হয়। পরে এমআরআই করলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ফেরগুস গ্লিসন বলেন, ‘আমরা এ পদ্ধতিতে ১৯ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ১০ জন করোনাভাইরাস রোগীর ফুসফুস পরীক্ষা করেছি।’
তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক পরীক্ষায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এসব লোকের ফুসফুসে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। এদের মধ্যে আটজনই প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে জেনন গ্যাস দিয়ে পরীক্ষার পর ফুসফুস অকেজ করার বিষয়টি ধরা পড়ে।’ সূত্র : বিবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন