স্টাফ রিপোর্টার : শিগগিরই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, মামলাটি এখন শেষ পর্যায়ে। আশা করা যায়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মামলাটির রায় হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে কি না, তা আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম কথা, যদি কেউ মারা যান, ফৌজদারি আইনে তার কিন্তু আর বিচার করা যায় না, সেটা সম্ভব নয়। তার জড়িত থাকার কথা যদি প্রমাণিত হয়, তবে জনগণ তাকে ঘৃণার চোখেই দেখবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বের করতে একটা কমিশন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, যারা যারা এর নেপথ্যে ছিলেন ইতিহাসের কারণেই কিন্তু সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি তাদের খুঁজে বের করতে কোনো কমিশন গঠন করার কথা।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের মধ্যে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে ১২ জনের মৃত্যুদ- বহাল থাকে। এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। বাকি সাতজনের মধ্যে পলাতক অবস্থায় একজন মারা গেছেন। আর ছয়জন এখনো পলাতক।
ওই রায়ের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে যারা সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের আমরা বিচারের আওতায় আনতে পেরেছি। তাদের সাজা দিতে পেরেছি। খুনি মুশতাক যদি বেঁচে থাকত, তার যদি বিচার করা যেত, মাহবুবুল আলম চাষীর যদি বিচার করা যেত, এখন পলাতক রশীদকে যদি বের করা যায়, তাহলে এর নেপথ্যে আরও কারা আছে সেটা বের করা যাবে। যারা হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত নয়, কিন্তু বাইরের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো অনেক তথ্য পেতাম। একুশে আগস্ট হামলা মামলায় ১৯ আসামি পলাতক রয়েছেন। সেসব পলাতক আসামিকে খুঁজে বের করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমি এ ব্যাপারে শুধু বলব, আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ত্যাগ, ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও জীবনকে উৎসর্গ করার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সেটাই তার আদর্শ। তিনি বলেন, অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে রক্তদানও একটি ত্যাগ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যে সমস্ত আইনজীবী রক্তদান করে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন