অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্জিত অর্থ-সম্পদ পাচারের অভিযোগে আনসার-ভিডিপি’র সাবেক মহাপরিচালক লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বৃহস্পতিবার একজন উপ-পরিচালককে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, হাসান সোহরাওয়ার্দী ক্ষমতার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে বিপুল অবৈধ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন-মর্মে অভিযোগ রয়েছে। বিপুল সম্পদের মালিক হতে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। অবৈধভাবে অর্জিত কোটি কোটি টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়া বিদেশে অর্থ পাচার করে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চৌধুরী আবু সাহেদ নামের এক ব্যক্তির ৩০ পৃষ্ঠা অভিযোগ দুদক আমলে নেয়। পরে কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে-মর্মে দাবি করা হয়। এর ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
অভিযোগের তথ্য মতে, হাসান সোহরাওয়ার্দী বগড়া গলফ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার স্ত্রী ফারজানা নিগার, মেয়ে মারগুবা হাসান জারা ও ছেলে ফাইয়াজ হাসান চৌধুরীকে নিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসানের সংসার। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি চ্যানেল আই এর টিভি উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হন।
অনলাইন এক টকশোতে সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে আলোচনায় আসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী। গত মার্চ মাসে নারী কেলেঙ্কারিসহ সেনা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য দেশের সকল সেনানিবাসে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন