বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের র্যাম ভেঙে প্লাটফর্মে উঠে গেছে যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেন। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, ইঞ্জিনের ব্রেক ফেল করায় এ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র চার দিন আগে গত ১৭ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে উঠে যায় চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনের ইঞ্জিন। ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে প্রবেশের সময় দুর্বৃত্তরা ট্রেনের চালককে মারধর করায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ট্রেনের চালক ও সহকারী চালককে বরখাস্ত করা হলে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা দেন। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে দুই চালকের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সূত্র জানায়, কয়েকশ’ যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ২১৭ নম্বর লোকাল ট্রেনটি গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। নির্দিষ্ট স্থানে না থেমে ট্রেনের ইঞ্জিন (২৩২৪) প্লাটফর্মের র্যাম ভেঙে উপরে উঠে যায়। এ সময় প্রচ- ঝাঁকুনিতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটি থেমে যাওয়ার সাথে সাথে যাত্রীরা ভয়ে হুড়োহুড়ি করে নেমে যায়। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর শহিদ আহমেদ জানান, প্লাটফর্মের র্যাম ভাঙা ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হয়নি। কেউ হতাহতও হয়নি। ওই ট্রেনের একজন যাত্রী বলেন, ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ছাড়ার পর ফতুল্লাতে যেমন গতিবেগ ছিল কমলাপুরে প্রবেশের সময়ও একই রকম গতিবেগ ছিল। আরেক যাত্রী বলেন, ট্রেনটি যখন কমলাপুর আইসিডির সীমানায় প্রবেশ করে তখন এর গতিবেগ অনেক বেশি ছিল। যাত্রীদের বেশিরভাগই তখন প্লাটফর্মে নামার জন্য দরজার সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে। গতি বেশি থাকায় অনেকেই হতবাক হয়ে প্রশ্ন করছিলেন, কী ব্যাপার ট্রেনকি দাঁড়াবে না নাকি? রেলওয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা মনে করছেন ইঞ্জিনের ব্রেক ফেল করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাত্র চার দিন আগে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের উপরে উঠে যায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা সাগরিকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম স্টেশনে ট্রেনটি প্রবেশের সময় ট্রেনের চালককে (লোকোমাস্টার) মারধর করছিল ট্রেনের ইঞ্জিনে ওঠা কয়েকজন যুবক। মারধরের কারণে চালক ইঞ্জিনের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। আহত চালককে পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকামুখী মহানগর প্রভাতীর ইঞ্জিন বগিসহ চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরমে উঠে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন