শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চাপ। ঢাকা শিশু হাসপাতালে বহির্বিভাগে এখন রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর ১৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।
অনেকের বয়স এখনো বছর ছোঁয়নি। কিন্তু এতোটুকু শিশুদেরই শ্বাসযুদ্ধে সঙ্গী অক্সিজেন মাস্ক। যতই বাড়তে শুরু করেছে শীতের সময়, ততই হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চাপ। আর এ শীত সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে শিশুদের।
যদিও এখনো আসেনি পুরোপুরি শীত, তারপরও শীতজনিত রোগ যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় কতটা চাপ বাড়াচ্ছে, তা বোঝাতে একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। ঢাকা শিশু হাসপাতালের আউটডোরে এখন রোগী চাপ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। আগে দৈনিক ১২০-১৫০ জন সেবা নিলেও গত কিছুদিন ধরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০-৩৫০ জনে। আর হাসপাতালটিতে ৬৬৫ শয্যায় ভর্তি থাকা রোগীর ১৫ শতাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। আর গত এক মাসে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছে ১৯৮ জন নিউমোনিয়া রোগী। তাই শীতে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হত, সেখানে এখন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের জন্য এখন পরামর্শ হচ্ছে- কুয়াশাতে যেন না যায়, ঠান্ডা পানি যেন না পান করে এবং ঠান্ডা খাবার যেন না খায়। প্রতিদিন হালকা গরম পানি পান করতে ভাল।
এদিকে, রাজধানীতে গত কয়েকদিন কুয়াশা থাকলেও গতকাল দেখা গেছে রোদের ঝিলিক। এমন অবস্থা থাকবে আরো দু-তিনদিন, এমনটাই বলছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া চলতি মাসের ১৮/১৯ তারিখের দিকে বইতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাসের শেষেও দেখা যাবে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন