শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে অ্যামোনিয়া সার কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা

প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে : গুরুতর অসুস্থ হয়ে শ্রমিকসহ ৪০ জন হাসপাতালে : কয়েকজন এখানো নিখোঁজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ড্যাপ) কারখানায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কারখানায় কর্মরত বেশ কযেকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকায়। অ্যামোনিয়া সার কারখানার শ্রমিকসহ ৪০ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরো কয়েকজন শ্রমিকের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের ট্যাংকার ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তখন কারখানাটিতে ৩০-৩৫ জন শ্রমিক কাজ করছিল। ঐ ট্যাংকারে ২০০ থেকে ৫০০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া গ্যাস ছিল। দুর্ঘটনার পর ব্যাপক হারে গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। এতে ঐ কারখানা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা (সিইউএফএল) ও বহুজাতিক সার কারখানা (কাফকো) এবং কারখানা দুটির আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষাক্ত গ্যাসে টিকতে না পেরে রাতের পালায় কর্মরত দুটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানা ত্যাগ করে। ফলে অঘোষিতভাবে কারখানা দু’টি বন্ধ হয়ে যায়। ঐ এলাকার বাসিন্দারা কম-বেশি সবাই গ্যাসে আক্রান্ত হন। নদীর এপারে শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ মহানগরীর বিশাল এলাকাতেও গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পতেঙ্গা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বাতাসের সাথে আসা বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাসে পতেঙ্গা এলাকার লোকজন শ্বাসকষ্টসহ নানান জটিলতায় ভুগছেন। নগরীর হালীশহর এলাকার বাসিন্দা সারোয়ার সুমন জানান, তারা বিষাক্ত গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় অবস্থান করছেন। এদিকে, দুর্ঘটনার পর কাফকো ও সিইউএফএল-এর উদ্ধারকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে ছুটে গেলেও গ্যাসের প্রকোপে কারখানার কাছে ঘেঁষতে পারেনি। রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি ছিটিয়ে গ্যাসের নির্গমন বন্ধ করার চেষ্টা করছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন