স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২১ আগস্টের হামলার সঙ্গে বিএনপি ও তার সহযোগীরা জড়িত এটি আজ ধ্রুব সত্য। তিনি বলেন, প্রত্যেক ক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তারা যে অ্যাকশন নিয়ে নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল, তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে জনগণ সেটি প্রতিহত করেছে। তারা জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল, কিন্তু কাউকে তারা সেটি বিশ্বাস করাতে পারেনি। গতকাল সোমবার বিকালে শিল্পকলা একাডেমির ৬নং গ্যালারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সংবাদ চিত্রপ্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কী কারনে ২১ আগস্টের হামলা? কারণ তারা ২১টা বছর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও স্বাধীনতার ইতিহাস সুপরিকল্পিতভাবে উচ্চারণ করতে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাই ছিলেন সেদিনের হামলার টার্গেট। সেদিন জনসভাস্থলে স্বাভাবিক সিকিউরিটি ছিল না। বিরোধীদলীয় নেতা যেখানে বক্তব্য দেবেন আশপাশের বাড়ির ছাদে পুলিশ ছিল না। বোমা হামলার পর যারা আহতদের সেবা করছে তাদের ওপর হামলা করেছে। এমনকি সংসদে এটি নিয়ে আলোচনা করতে দেননি খালেদা জিয়া ও তার স্পিকার।
যুবলীগের প্রশংসা করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে যত যুব সংগঠন আছে আওয়ামী যুবলীগ সর্বশ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন। যুবলীগ আজ ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে সুসংগঠিত, যার বেনিফিশিয়ারি আমি নিজেই।
বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমান জড়িত, এটা কি নতুনভাবে প্রমাণ করতে হবে? ওই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আমরা লাল নিশান দিয়ে রেখেছিলাম। খালেদা জিয়া সব মুছে ফেলেছিলেন।
অপর বিশেষ অতিথি যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্যই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখতে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান আলোচক যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই ২১ আগস্ট পালন করি। আমার কাছে দুঃখ লাগে, এখনও দলীয়ভাবে ২১ আগস্ট পালন করা হয় না। তিনি দাবি করেন, ২১ আগস্টকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকলে রাজপথে মিছিল করতে হবে। যারা পুলিশের নির্মম প্রহার সহ্য করতে পারবে, যারা গ্রেফতার হবেন তারাই হবেন নেতা। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের কল্যাণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিয়োজিত মানবিক কাজ। এটার বিনিময়ে কিছু পাওয়া যায় না। আমি মন্ত্রী হব, এমপি হবÑএমন আশা করলে সেই আশার নাম রাজনীতি নয়।
ওমর ফারুক আরও বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতিজীবী তৈরি করেছিলেন। রাজনীতি করলে বুঝি কোটি টাকার মালিক হওয়া যাবে। সেই রাজনীতিজীবীরা এখন মাঠে আসবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগের বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সংসদের ৯০ ভাগ রাজনীতিবিদ।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকম-লীর সদস্য ছাড়াও মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ সহসভাপতি সোহরাব হোসেন, আনোয়ার ইকবাল, মো. হারুন অর রশিদ, নাজমুল হোসেন, মোরসালিন আহমেদ, খোরশেদ আলম, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, গাজী সারোয়ার হোসেন, মাকসুদুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মহানগর উত্তর সহসভাপতি আকতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন