শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নাগরিকদের হয়রানি না করে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে হাইকোর্ট

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নাগরিকদের স্বাধীনতা ব্যাহত না করে এবং কোনো হয়রানি না করে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে ডিএমপি বিধিমালার এ-সংক্রান্ত ধারাকেও বৈধ বলেছেন আদালত। এ-সংক্রান্ত পূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আদালত এই রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এ রায়ের ফলে তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারাও বৈধই থাকল বলে জানিয়েছেন মোতাহার হোসেন সাজু। রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যা বলেছি তার সঙ্গে একমত হয়েছেন। আদালত বলেছেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। তবে নাগরিকরা গোপনীয়তার স্বার্থে কোনো কলাম পূরণ করতে না চাইলে তাকে জোর করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনা বিধিমালা ২০০৬)-এর ৪(খ) ধারায় বলা হয়েছে মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে। এই ‘যে কোনো’ কথাটা অবাধ নয়। সংবিধান ও আইনের আলোকে এর প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া তথ্য সংরক্ষণে ডিএমপি ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে একটা বিধি প্রণয়নের কথা বলেছে। আদালত সেই বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহে আরো কঠোর হতে বলেছেন।
তবে রিটকারী আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, আদালতের রায়ে আমরা বুঝতে পারিনি পুলিশের কাজকে সরাসরি বৈধ বা অবৈধ বলা হয়েছে কি না। তাই রায়ের কপি পাওয়ার পরই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারব।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৭ মার্চ বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে ‘ঢাকা মহানগর পুলিশ (নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনা) বিধিমালা-২০০৬’-এর ৪-এর খ ধারার একটি অংশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান আদালত। এ বিধিমালা দেখিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকায় সব বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
গত ৮ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ভাড়াটিয়ার তথ্য চাওয়া নিয়ে একটি রিট এর আগে খারিজ হয়েছিল। পরে আরেকটি বেঞ্চ রুল দেন। একই বিষয়ে দুই রকম আদেশ চলতে পারে না। এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষ সে রুলের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগ ২৭ মার্চের রুলটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিট পুলিশিং নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ১৫ মার্চের মধ্যে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। রাজধানীর সব বাসায় ফরম পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে অনেক ফরম ফেরত পেয়েছে, অনেক ফরম পায়নি, যা ১৫ মার্চের মধ্যে শেষ হবে। পরে অবশ্য আরো সময় বাড়ানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন