সরকারি পাটকল ইজারা দেওয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতারা। স্কপের ৯ দফা দাবির সমার্থনে দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবস পালনের অংশ হিসাবে রাজধানীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই আহবান জানান। গতকাল শনিবার রাজধানীর জিপিও চত্ত্বরে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)’র সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন, লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকীল আক্তার চৌধুরী, জাতীয় ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা, টিইউসি’র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের আনোয়ার আলী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।
নেতরা বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাটকলসমূহ চালু এবং আধুনিকায়ন করার সুপারিশ করলেও পাট মন্ত্রণালয় পাটকলগুলি ইজারা দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করেছে। পাটকলের পর একইভাবে কয়েকশত কোটি টাকা ঋণ ও লোকসানের অভিযোগ তুলে ৬টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন, পুরাতন ঋণ ও ঋণের সুদ মওকুফ এবং পরিচালনা প্রক্রিয়ায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর দুর্নীতি বন্ধ করে চিনিকলসমূহকে লাভজনক করা সম্ভব।
আরো বলেন, করোনাকালে যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব সকল নাগরিকের সার্বিক সুরা নিশ্চিত করা, যখন রাষ্ট্র এই দায়িত্ব শিকার করে নিয়ে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা হিসাবে ভর্তুকি-ঋণ দিচ্ছে, সেই সময়েই রাষ্ট্রীয় পাটকল-চিনিকল বন্ধ করা হচ্ছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক এবং তাদের উপর নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ মানুষকে কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এরমাধ্যমে সরকার ধনিদের স্বার্থরাকারী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।
নেতারা বিরাষ্ট্রীয়করণ বন্ধ করে বন্ধ পাটকল-চিনিকলসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু ও আধুনিকায়ন, আইন করে মালিকানা নির্বিশেষে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়নসহ স্কপের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা হাতে শ্রমিকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন