হজযাত্রী পরিবহনের কোনো সঙ্কট হবে না
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনের কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। বিমানের ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শুরুর দিকে হজযাত্রী এবং হজ এজেন্সিগুলো বিমানের পরিবর্তে সউদীয়া এয়ারলাইন্সের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। প্রতি হজ ফ্লাইটে তিন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী প্রেরণের বাধ্যবাধকতা, ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা এবং মক্কা-মদিনার বাড়িভাড়ার সিডিউলের কারণেও বিমানকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে ১৩টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ জেদ্দাস্থ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য আরো ১৫টি স্লট বরাদ্দ পেয়েছে। ১৫টি অতিরিক্ত হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সউদী আরবে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। গতকাল পর্যন্ত ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ৯২ হাজার ৫৬৮ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু করেছে। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো: আব্দুল জলিল, হাব সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার, সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কবির খান জামান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকির হোসাইন, ধর্মমন্ত্রীর পিএস ড. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী সচিব (হজ-২) মো: শহিদুল্লাহ তালুকদার, এপিএস শফিকুল ইসলাম শফিক ও পিও আবু সাঈদ।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হাবের পক্ষ থেকে পরিচালক হজ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে আমি ২১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত আশকোনাস্থ হজ অফিসে অফিস করি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহরাম সমস্যা, প্রতিস্থাপন ও মোনাজ্জেম সমস্যার যৌক্তিকভাবে সমাধানের নির্দেশ দেই। ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, চলতি বছর প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী অপেক্ষমাণ রয়েছে। তাদের হজে পাঠাতে সউদী সরকারের কাছে অতিরিক্ত কোটা বরাদ্দ চেয়ে একাধিক ডিও দিয়েছি। কোটা পেতে এখনো চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কিছু হজ এজেন্সির মালিক ক্ষতিগ্রস্তের নামে অতীতেও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে, এরা এবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ রকম কিছু হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত বছর হাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ ৫ হাজার হজযাত্রীর পাহাড়ের ওপরে বাড়িভাড়া করে ৬ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে তার বিচার কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা বাড়িভাড়া নিয়ে দুর্নীতি করেছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মন্ত্রী বলেন, আমি এক টাকাও ঘুষ খাই না। কেউ ঘুষ খেলে প্রমাণ পেলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মন্ত্রীর এপিএস শফিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এজেন্সির মালিকদের সাথে মন্ত্রীর বাসায় গোপন বৈঠক করেন বলেও সাংবাদিকরা অভিযোগ তোলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন