বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অভিযানে ২০২০ সালের ১২ মাসে ৭৩৭ কোটি ৯৩ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের সংখ্যা উল্লেখ্য যোগ্য বলে জানা গেছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২০২০ সালের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বার মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৭৩৭ কোটি ৯৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। আর উদ্ধারকৃ মাদকের মধ্যে ১ কোটি ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ বোতল বিদেশী মদ রয়েছে। আবার ৬ হাজার ৩৩৯ লিটার বাংলা মদ, ১০ হাজার ৪১৬ ক্যান বিয়ার এবং ১৩ হাজার ৮৫৭ কেজি গাঁজা ও ২২ কেজি ১৭ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া ৪৬ হাজার ৬২১টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৬৪ হাজার ১৬৯টি এ্যানেগ্রা, সনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট উদ্ধার তালিকায় রয়েছে। অপরদিকে উদ্ধারকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে ৮৭ কেজি ৭৬৬ গ্রাম স্বর্ণ, ২১৬ কেজি ৭১৭ গ্রাম রূপা, ৩৩ হাজার ৩৬৬টি শাড়ি, ৯ হাজার ৪৪০টি থ্রিপিস, শার্টপিস, ১৪ হাজার ৯৬৭টি তৈরী পোশাক, ২১ হাজার ৪৮৭ মিটার থান কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৫ ঘনফুট কাঠ ও ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ কেজি চা পাতা এবং ৪১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১২ মাসে উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াাস্ত্রের মধ্যে ৩৩টি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ৯০টি বন্দুক, ১০ হাজার ৪৭৩টি সকল প্রকার গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে ৩৫টি ম্যাগাজিন, ২ কেজি ২০০ গ্রাম গান পাউডার ও ২০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া বিজিবি’র অভিযানে ২০২০ সালের ১২ মাসে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৩ হাজার ৫৯৪ জনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।