শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

গুলেনকে ফেরত দিতে কোনো অজুহাত মানবে না তুরস্ক

প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের দায়ে ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী গুলেনকে ফিরিয়ে দিতে আর কোনো অজুহাত নয়। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ফেরত দিতে হবে। গুলেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দেবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গত বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গুলেনকে গ্রেফতারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সরকারিভাবে অনুরোধ জানিয়েছিল তুরস্ক। তাছাড়া অভ্যুত্থান চেষ্টায় গুলেনের জড়িত থাকার বিষয়ে কিছু প্রমাণ ওয়াশিংটনে পাঠায়। এরপরই গত ২২ আগস্ট দেশটি সফরে আসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল। গুলেনের বিরুদ্ধে তুর্কি সরকারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই তাদের এ সফর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমতাবস্থায় গুলেনকে তুরস্কে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুই দেশের পারস্পরিক যোগাযোগে কিছুটা উন্নতি হয়েছে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে আঙ্কারায় তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এর আগেই এরদোগান জানিয়েছেন, গুলেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দেবেন তিনি। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য অভিযুক্ত গুলেনকে ফেরত দিতে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। এরদোগান বলেন, গুলেনকে ফেরত দিতে তুরস্কের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন তুর্কি ধর্মবেত্তা ফেতুল্লাহ গুলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একাধিকবার গুলেনকে ফেরত চাওয়া হয়েছিল। গুলেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কেও দূরত্ব তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেন, হয় গুলেন, না হয় তুরস্ক, যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের মূল হোতা হিসেবে গুলেনকে অভিযুক্ত করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন গুলেন। দফায় দফায় তুরস্কের আহ্বানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, গুলেনের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ দিলে বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। রয়টার্স, আল জাজিরা।



 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
rakib ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ৬:০১ পিএম says : 0
আশা করি গুলেন মৃত্তুর আগে প্রিথীবিকে জানিয়ে জাবেন তুরকি কি করে এতো অল্প সময় তেল সমৃধ হলো।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন