রাজধানীর পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চতুর্থ কার্যদিবসের অংশ হিসেবে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পান্থকুঞ্জ আউটলেটে গতকাল দিন ও রাতের বেলা যথাক্রমে ম্যানুয়ালি ও যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এবং রাসেলে স্কয়ার আউটলেটে রাতের বেলা যন্ত্র ব্যবহার করে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় পান্থকুঞ্জ আউটলেটে পুঞ্জিভূত পচনশীল দ্রব্যের ৫ থেকে ১০ ফুট পুরু বর্জ্যের স্তর দেখা যায়।
পান্থপথ কালভার্টে তৃতীয় কার্যদিবসের কার্যক্রমে ৪৭ টন বর্জ্য এবং চতুর্থ কর্মদিবসের দিন ও রাতের বেলায় পরিচালিত কার্যক্রমে ৭৭.৬১ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ কার্যদিবসে ১২৪.৬১ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। অপরদিকে সেগুনবাগিচা কালভার্টের গোপীবাগ আউটলেটে চলমান কার্যক্রমে অপচনশীল দ্রব্যের আধিক্য থাকায় সেখানে ম্যানুয়ালি বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, নগরীর শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালু নগর খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রাথমিক কার্যক্রম হিসেবে ম্যানুয়ালি বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। এ সময় শ্যামপুর খালে বর্জ্য উত্তোলনের পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণের কার্যক্রমও চলমান। আজ জিরানী খালের নন্দীপাড়াস্থ ত্রিমোহনী অংশে ড্রেজারের মাধ্যমে বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে।
খাল ও বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য উত্তোলন ও অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা পূর্ণোদ্যমে কাজ করে চলেছি। তবে একটি বিষয় আমাদের নজরে এসেছে, খাল ও বক্স কালভার্টগুলো হতে বর্জ্য উত্তোলন ও অপসারণ সব জায়গায় একই নয়, নানাবিধ ভিন্নতা রয়েছে। পান্থপথ বক্স কালভার্টে এক ধরনের বর্জ্য আর সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট আরেক ধরনের বর্জ্য অপসারণ করতে হচ্ছে। এছাড়াও বক্স কালভার্টের আপ-স্ট্রিম ও ডাউন-স্ট্রিমে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির বর্জ্য রয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের এই কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চলমান রয়েছে। এই এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা তা পর্যালোচনা করে সে মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন বলেন, পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ করতে গিয়ে কালভার্টের অভ্যন্তরে আমরা ৫ থেকে ১০ পুরুত্বের পচনশীল বর্জ্যের স্তর দেখতে পেয়েছি। মাটি ও বালির সমন্বয়ে গঠিত এ ধরনের বর্জ্য দীর্ঘসময় পুঞ্জিভূত থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তাই, এ কার্যক্রমটা বেশ জটিল ও দুরূহ। কিন্তু, তারপরও এই কার্যক্রম সম্পাদন করতে আমরা অব্যাহতভাবে প্রয়োজনীয় সকল কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন