পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদন্ড বহাল থাকা ৯ আসামি লিভ টু আপিল করেছেন। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫ পৃষ্ঠার আপিল জমা দেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, এটি শুধু ৯ জনের আপিলের রেকর্ডপত্র।
অন্য আসামিরা আপিল করতে চাইলে তাদেরও একই নথি জমা দিতে হবে কিনা-জানতে চাইলে এ আইনজীবী বলেন,অন্য আসামিদের আপিলের ক্ষেত্রে এসব নথি থেকে রেহাই দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলে একই নথির ভিত্তিতে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে অন্য আসামিদের আপিলও ফাইল করা সম্ভব। আপিলকারীদের মধ্যে কামাল মোল্লা, মনিরুজ্জামান,ইউসুফ আলী, আবু সাঈদ আলম, সাঈদুর রহমান, আনিসুজ্জামান, ফজলুল করিম এবং বজলুর রশীদ রয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র জানায়, হাইকোর্টের আদেশে খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা হ্রাস পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধেও লিভ টু আপিল ফাইল করেছে সরকারপক্ষ। বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয় বিচারিক আদালতে। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়। এর মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন । বাকি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে ১৮৫ জনকে। তার ভেতরে একজন মৃত্যুবরণ করেন।এছাড়া ১৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন দু’জনকে। ১৫৭ জনকে ১০ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন, এর ভেতর দু’জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৩ জনকে ৭ বছর, ১৪ জনকে ৩ বছর, ১ বছর কারাদন্ড দেয়া হয়েছে দু’জনকে। মোট ৫৫২ জনকে সাজা এবং ২৮৩ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহে ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন