শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে ৩০ মামলার আসামি নুরু গ্রেফতার

হোটেল বয় থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

ছিলেন হোটেলের কর্মচারী। মাত্র কয়েক বছরে পাহাড় দখল, ডাকাতি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা করে হয়ে উঠেন শীর্ষ সন্ত্রাসী। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী গ্রুপ। ৩০ মামলার আসামি মো. নুর আলম ওরফে নুরুকে (৪০) পাকড়াও করার পর গতকাল শনিবার এসব তথ্য জানান নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। 

সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শান্তিরহাট থেকে শুক্রবার রাতে নুরু ও তার সহযোগী কাউছারকে গ্রেফতার করে। পরে নগরীর পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনীর নাছিয়া ঘোনায় তার আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটারগান, একটি রিভলবার, তিনটি কিরিচ ও রাম দা এবং ৪০০ পিস ইয়াবা।
নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, নুরু ডাকাত একসময় ফয়’স লেক এলাকায় রিসোর্টে কর্মচারী ছিল। সেখান থেকে সে পাহাড় দখল শুরু। পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে বিক্রি করে। ফয়’স লেক, আকবরশাহ কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় সে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তোলে। তাদের দিয়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছিলো।
২০১৪ সালের একটি অস্ত্র মামলায় ২০১৯ সালে ১৭ বছরের সাজা হয় নুরুর। কিন্তু এক বছরেও তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা আকবরশাহ থানায় পৌঁছেনি আদালত থেকে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানাজানির পর তিনদিন আগে নুরুর সাজা পরোয়ানা থানায় পৌঁছে। তিনি বলেন, নুরুর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি নুরুকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার বাহিনীর সদস্যরা। পরে অভিযানে ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধরা ছিল নুরু।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মনজুর মোরশেদ, এডিসি (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, এডিসি (গোয়েন্দা-পশ্চিম) আবুল কালাম শাহিন, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন