শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

তুরস্কে পুলিশ সদর দফতরে গাড়িবোমা হামলা, নিহত ১২

পিকেকে দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তবে কেউ দায় স্বীকার করেনি

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : একটি হামলার দাগ মুছতে না মুছতেই তুরস্কে আবার বোমা হামলা হয়েছে। এবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের কাছে এক গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ৯০ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এক খবরে বলা হয়, এ হামলায় অন্তত তিনজন পুলিশ কর্মকর্ত নিহত হয়েছেন। তবে এর সত্যতা জানা যায়নি। সিজরে শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু জানায়, এ হামলায় বহু লোক আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সিমাক প্রদেশ থেকে পাঠানো আলোকচিত্র ও ভিডিওতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত ভবনের কাছে অনেক এম্বুলেন্স জড়ো হয়েছে এবং হতাহতদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এনটিভির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা ছিল। এ ছাড়াও অস্ত্র গুদামের কাছে আরও কয়েকটি ছোটখাটো বিস্ফোরণের শব্দ শোনার গেছে বলে এনটিভি জানায়। বার্তা সংস্থা আনাদলুসহ স্থানীয় অন্যান্য গণমাধ্যম জানায়, এই হামলার পেছনে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিÑপিকেকের হাত রয়েছে। সিজরে শহরটি সিরিয়া ও ইরাক সীমান্তে অবস্থিত এবং শহরটি কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইএসের কবল থেকে জারাবলুস শহরটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য গত বুধবার তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অপারেশন ইউপহার্ট শেইল্ড পরিচালনা করে। সিরিয়া সরকার তুরস্কের ওই অভিযানকে সমর্থন দেয়নি।
এদিকে, কুর্দি ওয়াইপিজি কমান্ড এই হামলার দায়দায়িত্ব অস্বীকার করে বলেছে, তুরস্ক আইএসের চেয়ে কুর্দিদের ওপর বেশি হামলা চালাচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল তুর্কি বাহিনী পিকেকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় যুদ্ধরত আইএস জিহাদিদের বিরোধিতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিদের বিরুদ্ধে (পিকেকে) সামরিক অভিযান চালানোর কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কে সন্ত্রাসী হামলা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আংকারা কর্তৃপক্ষ কখনো এই হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করে আবার কখনো দায়ী করা হয় পিকেকে’কে। উপরন্তু তুর্কি বাহিনী আইএস নির্মূলের নামে সিরীয় সীমান্তে বিমান হামলা এবং ট্যাংক অভিযান শুরু করেছে। একই সঙ্গে কুর্দিদের বিভিন্ন অবস্থানে চালানো হচ্ছে সামরিক অভিযান। আর এ কারণেই তুরস্কের অভ্যন্তরে ও সন্ত্রাসী হামলার তীব্রতা বেড়েছে এবং তারই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার সর্বশেষ হামলাটি হলো গত কাল শুক্রবার। আরটি, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন