কর্পোরেট রিপোর্ট : আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক কম থাকায় চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ খাতে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় ব্যাপক হারে কমেছে। চাল, গম, চিনি, ডাল, দুগ্ধজাত খাবার আমদানিতে ব্যয় কমেছে। এছাড়া, ব্যয় কমেছে ভোজ্য তেল ও জ্বালানি তেল আমদানিতে। তবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। তেল ও খাদ্যপণ্যে ব্যয় কম হওয়ার প্রভাবে সার্বিকভাবে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে চাল আমদানিতে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৪ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩০ কোটি ২৭ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে এলসি খোলার হার কমেছে ৬৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া, এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। যা আগের বছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ কম। গত বছর আলোচ্য সময়ে চাল আমদানিতে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়। আলোচ্য সময়ে গম আমদানিতে এলসি খোলার হার কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ। এ বছর ৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। গত বছর খোলা হয় ৫৮ কোটি ২২ লাখ ডলার। চিনি আমদানিতে এলসি খোলার পরিমাণ ৩৮ কোটি ডলার থেকে সাড়ে ৩১ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬ কোটি ডলার।