শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ধর্ষিতার সন্তান প্রসব অতঃপর এলাকাছাড়া শিশুটিকে বিক্রি করেছেন সমাজপতিরা!

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিলার চৌদ্দগ্রামে এক যুবতীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের কারণে কন্যা সন্তান প্রসবের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে শালিশ বৈঠকে ধর্ষকের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, নবজাতককে বিক্রি ও ধর্ষিতাকে এলাকা ছাড়া করেছে সমাজপতিরা।
জানা গেছে, উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী দূর্গাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সিএনজি চালক সোহাগ (২৫) দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী বাড়ির এক যুবতীকে (২০) বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। দুই সপ্তাহ আগে যুবতী এক কন্যা সন্তান প্রসব করে। সন্তান প্রসবের পর বিয়ে ও সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবিতে ওই যুবতী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল। অভিযুক্ত ধর্ষক সোহাগের পক্ষ থেকেও বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়। তবে চেয়ারম্যান দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ দিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী আমির হোসেন মেম্বার, আবদুল মন্নান, এমরান, স্বপন, সাগর ও আজাদ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিপির বাড়িতে এক শালিশে বসে। শালিশে ধর্ষক সোহাগের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও নবজাতক পাশ্ববর্তী চিওড়া ইউনিয়নের চাপিরতলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর নিকট ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। মোট ৭০ হাজার টাকা ধর্ষিতার পরিবারকে না দিয়ে প্রভাবশালী আজাদ তার নিকট রেখে দেয়। এ ছাড়াও ধর্ষিতাকে এলাকা ছাড়া করে দেয়া হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে শালিশের বিচারক আমির হোসেন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শালিশের ঘটনা অস্বীকার করেন।
শালিশে উপস্থিত আজাদ জানান, ‘নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কারও বিচার করার সময় পাবো কই?’
অপর বিচারক আবদুল মন্নানের(০১৮৪০৮২৩৪৯০) বক্তব্য জানতে বারবার তার মুঠোফোনে কল করলেও তা রিসিভ হয়নি।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন