নওগাঁয় পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন
পিতাসহ আটক ৪
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : প্রেমজনিত কারণেই নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার চকাবির গ্রামে স্কুলছাত্র আহসান হাবিব বিদ্যুৎকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। শ্বশুরের লাশ পৃথিবীতে রেখে প্রেমিকার পিতা নিজেই অপর তিনজন সহযোগির সহযোগিতায় ছোরা দিয়ে নির্মমভাবে বিদ্যুৎকে খুন করেছে। পুলিশ প্রেমিকার পিতাসহ খুনের সাথে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নওগাঁর পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম পিপিএম এক সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক এই হত্যাকা-ের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি আজ শনিবার বিকেল ৪টায় জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেন।
জানা গেছে. বদলগাছি উপজেলা কোলা গ্রামের আনোয়ার হোসেন পুত্র উক্ত আহসান হাবিব চকাবির গ্রামে নানা বাড়ি থেকে বালুভরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। এখানে বসবাস করার সুবাদে নানার প্রতিবেশী ভাই জনৈক আলমের একমাত্র কন্যা একই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এ সম্পর্কের কথা ফাতেমার পিতা আলম আগে থেকেই জানতো।
ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফাতেমার নানা মারা গেলে তার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই সেখানে চলে যায়। ফাতেমা বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মোবাইল ফোনে বিদু্যুৎকে ডেকে আনে। তার শয়ন কক্ষে দু’জনে নিরিবিলি কথা বলার সময় তার বাবা বাড়িতে আসে। বাবার ডাকে ফাতেমা বাইরে এলে ঘরের মধ্যে শব্দ শুনতে পেয়ে নিশ্চিত হয় ঘরের মধ্যে কেউ আছে।
জোরপূর্বক মেয়ে ফাতেমাকে নানা বাড়িতে রেখে উক্ত আলম তার নিকটতম সহযোগী একই গ্রামের বুলু, তছলিম ও আমজাদকে সাথে নিয়ে ফাতেমার ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুৎকে বের করে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে বুলু পা এবং তছলিম ও আমজাদ দুই হাত ও মাথা ধরে রাখে। আলম গলায় ছুড়ি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। গলাকেটে হত্যা শেষে যথারীতি শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। পরদিন ঘটনাটি শোনার পরই ফাতেমা নিশ্চিত হয়েছে যে তার পিতা নিজেই তার প্রেমিক বিদ্যুৎকে খুন করেছে। সে তার বাবার বিচার দাবী করেছে। পুলিশের কাছে জবানবন্দীতে অকপটে ফাতেমার বাবা আলম হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক এই খুনের বিবরণ দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন