রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কাজী জাফরের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন দলের নেতারা মিলেমিশে একাকার

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। এ উপলক্ষে মরহুমের গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চিওড়া কাজীবাড়িতে সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড় লক্ষ করা গেছে। কেউ কেউ দল বেঁধে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, আবার কেউ কেউ কোরআন খতম করেন, কেউ আবার কাজী জাফরের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। এক কথায়Ñ সকল ভেদাভেদ ভুল গিয়ে প্রিয় রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে সব দলের রাজনৈতিক নেতারা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন।
বিএনপি : মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল আনোয়ারুল আজিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য গফুর ভূঁইয়া, কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক ভিপি মো: হানিফ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, যুবদলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সভাপতি আমিরুজ্জামান আমির, ছাত্রদল সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, বিএনপির চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সভাপতি জি এম তাহের পলাশী, সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরন, উপজেলা বিএনপি নেতা খোরশেদ কবির শিপন, কাজী জসিম, যুবদলের উপজেলা সেক্রেটারি নাজমুল হক, পৌরসভা সভাপতি মোস্তফা কামাল অভি, ছাত্রদলের উপজেলা সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, তৃণমূল দলের সভাপতি নুরুন্নবী পাটোয়ারী প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি (জাফর) : মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আলম, সাবেক মন্ত্রী রফিকুল হক হাফিজ, সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস, ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র খালেকুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র নাছির চৌধুরী, মাওলানা রুহুল আমিন, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাপা সভাপতি এয়ার আহমেদ সেলিম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জাপা সভাপতি আলহাজ আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ চৌধুরী পাশা, কাজী জাফরের সহধর্মিণী মমতাজ জাফর, মেয়ে কাজী জয়া, ভাতিজা কাজী আরিফ, কাজী নজরুল, কাজী নজমুল, কাজী শহীদ, কাজী জাফরের ব্যক্তিগত সাবেক সহকারী গোলাম মোস্তফা, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ফয়েজ আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলেমান শাহীন, মহানগর সভাপতি সাদিক মাহমুদ, সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী ও যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন সরকার প্রমুখ।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) : উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রেজাউল হক মজুমদার খোকন, যুব সংহতির নেতা শহীদ, শাহজাহান, আবুল খায়ের, সাইফুল মেম্বার, হারুন, আবদুল্লাহ হিল বাকি।
জামায়াত : কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দক্ষিণ আমীর মাহফুজুর রহমান, উত্তর শাখার সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, জেলা শিবির নেতা আল আমিন রাসেল, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার, উপজেলা সদর শিবির সভাপতি রবিউল করিম মিলন, জামায়াত নেতা আবদুল মোতালেব মেম্বার প্রমুখ।
এছাড়াও জাগপার চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, মহাসচিব খন্দকার লুৎফুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব সাঈদুর রহমান তামান্না, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াসহ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও মরহুম কাজী জাফর আহমদের সহকর্মী বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মৃত্যুবার্ষিকীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।
ঢাকায় দোয়া ও আলোচনা সভা
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ছাড়া আর কিছু নয়। ঘুরে ফিরে তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন যা আমাদেরকে অবাক করেছেন। তিনি বলেন, আজ জননন্দিত নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ বেঁচে থাকলে তার এই বক্তব্যের শুধু প্রতিবাদই করতেন না; রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিহত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন। এই মহান নেতার শূণ্যতা আমরা প্রতি মুহূর্ত অনুভব করছি। আজ থেকে এক বছর আগে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি আরো বলেন, কাজী জাফর আহমদ তার কর্মের মধ্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন। রামপাল সুন্দর বন থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু আর মাত্র ১২ কিলোমিটার সরিয়ে নিলে পরিবেশবাদীসহ আর কারো কোনো কথা থাকবে না এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এই সামান্য যুক্তিটুকুও মানছেন না। গতকাল কাজী জাফর আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তৃনমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ঢাকায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন এনডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, রফিকুল ইসলাম পিপলু, মোঃ এনামুল ইসলাম, শাহানুল ইসলাম, আইয়ুব খান বিপ্লব, মোঃ কামাল হোসেন, আবদুল মতিন, সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী একই দিনে কাজী জাফর আহমদ এর মৃত্যু হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট। জাতীয় জীবনে এই দুই মহান ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকীর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
আলোচনা শেষে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন এর নেতৃত্বে বাদ জোহর কাজী জাফর আহমদ এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে হাইকোর্ট মাজার মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন