স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৬ জনগণের হাতে মুখে তালা লাঘানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের মানুষ আশা করেছিল নতুন এই আইনে নাস্তিক-মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হবে। কিন্তু যা করা হলো তা রীতিমতো বিস্ময় ও অবাক করার মতো অবস্থা। এই নতুন আইন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটূক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হলেও নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলাম ও রাসূল (স:) নিয়ে কটাক্ষকারীদের শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। ইসলামবিনাশী সিলেবাস দিয়ে আমাদের সন্তানদের বেঈমান বানানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এমতাবস্থায় কোনো মুসলমান নীরব থাকতে পারে না।
গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ীস্থ একটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী থানা শাখার নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের যাত্রাবাড়ী থানা সভাপতি আলহাজ ইসমাঈল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এইচ.এম সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শেখ নুরুন্নবীসহ থানা নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে এ ধরনের সরকারি সিদ্ধান্ত কোরবানির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে চরম বাধাগ্রস্ত করবে। তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণ করার চক্রান্ত চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধি জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। এসব সরকারের চোখে পড়ে না। সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভারতের সাথে দাসখত দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে Ñপ্রচার সম্পাদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেছেন, বামপন্থী নেতা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কৌশলে সিলেবাসের মাধ্যমে মুসলমানদের সন্তানকে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কাজেই সকল চক্রান্তের মূল নায়ক শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন