বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রতিক্রিয়া রামপাল বাতিল না হলে সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হবে -আ স ম আবদুর রব

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সামাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করা না হলে সরকারের বিরুদ্ধে উনসত্তর সালের মতো গণঅভ্যুত্থান হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এতো প্রেম কেন? রামপালে করতে হবে কেন?
বাংলাদেশে আর কোথাও জায়গা নাই। আইল্যান্ডে যান, নিঝুম দ্বীপে যান, সেন্টমার্টিনে যান, জায়গার তো অভাব নাই। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করতে হবে। এই প্রকল্প রামপাল থেকে সরান। তা না হলে উনসত্তরের মতো একটা গণঅভ্যুত্থান হবে সরকার পতনের জন্য। রামপাল আন্দোলনে আপনার সরকার উড়ে যাবে।
নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে সুন্দরবন রক্ষা কর, পরিবেশ বাঁচাও এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর যাবে না শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক ঐক্যের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম আকরামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি বক্তব্য রাখেন।
সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব বলেন, ভারতে ২৬ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার প্রকল্প ছিল, তারা অনুমতি দেয় নাই। আর আমাদের এখানে দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপালে হলে সুন্দরবনের বাঘ থাকবে না, হরিণ থাকবে না, পশু-পক্ষী থাকবেন না- এটা একটা মরুভুমিতে পরিণত হবে। গাছ-গাছড়া সমস্ত মরে যাবে।
সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে তেল-গ্যাস কমিটির ঘোষিত ২৪ নভেম্বর ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে তিনি বলেন, সকলকে অনুরোধ করব, ‘চলো চলো, রামপাল চলো’- এই শ্লোগান নিয়ে কিছু দিনের মধ্যে আমরা রামপালে যাত্রা শুরু করবো। আমরা দেখি সেখানে আমাদের কিভাবে ঠেকায়?
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার ওপর সরকারের প্রতিহিংসার কথা উল্লেখ করে আ স ম আবদুর রব বলেন, মান্না আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নাগরিক ঐক্য করেছেন, সেই প্রতিহিংসায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মান্নাকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, মান্না সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটা তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে চেয়েছেন সেজন্য সরকার তাকে জেলে ঢুকিয়েছে। এই বর্বর, ফ্যাসিবাদী নির্যাতন। সরকারকে বলব, এটা বন্ধ করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, মান্না জাতীয় নেতা, তাকে মুক্তি দিন। তা না হলে মান্নার মুক্তির আন্দোলন ও রামপালের আন্দোলন মিলে আপনার সরকার কিন্তু উড়ে যাবে। আমরা কেউ ঘরে বসে থাকব না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন