স্টাফ রিপোর্টার : অভিযানকালে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তাদের হাত উঁচু করে দরজা খুলে বের হয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু জঙ্গিরা পুলিশের ওপর গ্রেনেড ও গুলি ছোড়ায় বাধ্য হয়ে রেড করা হয়েছে। গুলি চালানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফকালে একথা বলেন। আইজিপি বলেন, গতকাল সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ধরে ‘হিট স্ট্রং ২৭’ নামে মূল অভিযান চলে। অভিযানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট, পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ অংশ নেয়। অভিযানের পরে বাড়িটির ভেতরে ঢুকে দেখা যায় সেখানে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের চেহারার সঙ্গে গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর ছবির হুবহু মিল রয়েছে। এতে স্পষ্ট তিনি তামিম হবেন। নিহত জঙ্গিদের একজনের সঙ্গে রাইফেল ও একজনের সঙ্গে পিস্তল ছিল। তারা লাইফ জ্যাকেট পরেছিলেন।
শহীদুল হক আরও বলেন, নব্য জামাআতুল মুজাহিদীনের একটি শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তামিম চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডার সিটিজেন। সিরিয়া থেকে তামিম চৌধুরী প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন বলে তাদের কাছে খবর ছিল। অনেক দিন ধরেই পুলিশ তামিম চৌধুরীকে খুঁজছিল বলে জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল তামিম নারায়ণগঞ্জে আছেন। ঈদের পর প্রায় এক মাস আগে জঙ্গিরা ওষুধ ব্যবসার কথা বলে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার এ বাসাটি ভাড়া নেয়। ওই বাড়ির ভেতরে জঙ্গি ছাড়া আর কেউ আছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালানো হয়েছে। বাড়ির মালিক অভিযানে পুলিশকে সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন