শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পরিবেশ-প্রতিবেশে মারাত্মক প্রভাব এলাকাবাসীর ক্ষতিপূরণ দাবি

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫০ পিএম, ২৭ আগস্ট, ২০১৬

চট্টগ্রামে সার কারখানায় বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো : কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি-১) সার কারখানায় অ্যামোনিয়া ট্যাংকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৫ দিন পরও গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত কারখানার চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গাছপালাসহ পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকে। এলাকায় হাজার হাজার গাছপালা পুড়ে গেছে কিংবা আধাপোড়া অবস্থায় মরে যেতে বসেছে। পুকুরে মাছসহ জলজ প্রাণী মরে গেছে।
আর পাখ-পাখালি চোখে পড়ে না কোথাও। এভাবে বিরাট এলাকায় পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর পড়েছে বিস্ফোরণের মারাত্মক দৃশ্যমান প্রভাব। এলাকাবাসী উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন সরকারের কাছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্বিকার রয়েছে। এদিকে কর্ণফুলী তীরের দু’পাশে ড্যাপ-১ ও ২ ছাড়াও রয়েছে গ্যাসনির্ভর আরও ১৭টি স্থাপনা। স্পর্শকাতর এসব স্থাপনায় যে কোন দুর্ঘটনার কারণে আরেকটি কারখানায় প্রভাব পড়তে পারে। অথচ এ বিষয়ে এখনও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ড্যাপ সার কারখানার মাত্র এক কিলোমিটার পরিধির ভেতরেই রয়েছে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. (সিইউএফএল), বহুজাতিক কারখানা কর্ণফুলী ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. (কাফকো)। এসব কারখানায় অর্ধডজন ট্যাংকে তরল অ্যামোনিয়া গ্যাস রাখা হয় ২৮ হাজার মেট্রিক টন। গত সোমবার মাত্র একটি ট্যাংকের প্রায় সাড়ে ৩শ’ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া বিস্ফোরণের বিরাট ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে পর্যন্ত। নির্গত অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃশেষ হওয়ার পরই নিয়ন্ত্রণে সময় লেগে যায় দু’দিন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ। জানা গেছে, এ অবস্থায় স্পর্শকাতর ১৭টি স্থাপনার দুর্ঘটনা প্রতিরোধের সক্ষমতা বাড়াতে সুপারিশ করতে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি। নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে গঠন করা হচ্ছে পৃথক আরো একটি কমিটি।
তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, পাশাপাশি উপরোক্ত তিনটি সার কারখানা কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্ঘটনার মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ আরও ১৪ স্থাপনায়। নদীর উত্তর পাড়ে রয়েছে দেশের প্রধান জ্বালানি তেল স্থাপনা, তেল শোধনাগার, তেলের ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার স্থাপনা এবং চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, টিএসপি সার কারখানা, কাস্টম হাউজ, কর্ণফুলী ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইপিজেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ। সিমেন্ট কারখানাসহ অর্ধশতাধিক শিল্প ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে কর্ণফুলীর উভয় তীরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
শান্তা ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৫৮ পিএম says : 0
এটা সরকারের দায়িত্ব
Total Reply(0)
মাহিম ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১:০২ পিএম says : 0
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কবে আসবে ?
Total Reply(0)
আরমান ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১:১৫ পিএম says : 0
এবার ভাবুন সুন্দরবনে এরকম হলে কি অবস্থা হবে ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন