করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, নিয়মিত সোর্সের পাশাপাশি বিকল্প সোর্স থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। তাছাড়া স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, কোনো অবস্থাতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন না ঘটে। এমনকি বিতরণ যন্ত্রাদি, ট্রান্সফরমার, কন্ডাক্টর, ক্যাবল, ফিউজ প্রভৃতি সম্পর্কে পূর্ব থেকেই সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের/হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে সেগুলোকেও সচল রাখতে তৃতীয় বা চতুর্থ বিকল্প হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও প্রয়োগের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গৃৃহীত কর্মপন্থা উপস্থাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন