ঢাকা- পটুয়াখালী নৌ-রুটে চলাচলকারি বিলাস বহুল ‘কুয়াকাটা-১’ দোতলা লঞ্চের সাথে বালু ভর্তি বাল্ক হেডের সাথে ধাক্কা লেগে লঞ্চের সামনের দিকে ফেটে পানি প্রবেশ করে, এ সময় চারজন শ্রমিক ক্রুসহ বাল্ক হেডটি ডুবে গেলেও কোন প্রাণহানি ঘটেনি, বাল্ক হেডের ক্রু-শ্রমিকরা সাঁতরিয়ে ওঠতে সক্ষম হয়। লঞ্চ চালকের দক্ষতায় প্রাণে বেঁচে যায় লঞ্চের ৫ শতাধিক যাত্রী।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের বন্দর কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঢাকা-পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার আমিরাবাদ এলাকায় একটি বালুভর্তি বাল্ক হেডের সাথে ধাক্কা লাগে, এতে লঞ্চের সামনের দিকের ডান পাশে ক্ষতিগ্রস্থ হয় লঞ্চে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে, চালক লঞ্চটিকে দ্রুত নদীর চরে তুলে দিলে প্রাণে বেঁচে যায় যাত্রীরা।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারি পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান আরোও জানান, রাতের বেলা নৌরুটে কোন ধরনের বাল্কহেড বা কার্গো চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। লঞ্চটি বর্তমানে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে মর্নিংসান-৫’ নামের আরেকটি লঞ্চ আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনা স্থল থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে, বিকেল তিনটে নাগাদ লঞ্চের পটুয়াখালীতে পৌঁছবে।
এম ভি কুয়াকাটা ১-লঞ্চের মাস্টার কামরুল জানান, ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসার পথে মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় মাঝনদীতে একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড ডান পাশ দিয়ে লঞ্চের সাথে সজোরে আঘাত করে, এতে কুয়াকাটা-১ লঞ্চের ডান পাশের সামনের অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লঞ্চের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে, তাৎক্ষণিক তারা লঞ্চ টিকে কিনারে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন