কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম ব্যুরো : টানা পাঁচদিন কর্মবিরতি শেষে চট্টগ্রামে লাইটারেজ জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর ১৬ ঘাটে শুরু হয়েছে লাইটার (ছোট) জাহাজ থেকে পণ্য খালাস। বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষমাণ অর্ধ শতাধিক মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করছে লাইটার জাহাজগুলো। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ৪ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে নৌযান শ্রমিকরা। বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম জানান, শনিবার বিকেল চারটায় শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক নেতাদেও বৈঠক হয়েছিল। এরপর রাত ১২টায় সর্বনিম্ন মজুরি ৯ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ হলে শ্রমিকরা তা মেনে নেয়। এরপরই নৌযান শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
তিনি জানান, সদরঘাট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড়ে ১৬টি ঘাট আছে। চানবালি, একে খান, বাংলাবাজার, আসাম বেঙ্গল, গ্যাস রেলি, জুট রেলি, আনু মাঝির, এভারগ্রিন, মাঝিরঘাট, আদমঘাট, কর্ণফুলী ঘাট ও সদরঘাটে ধর্মঘট শুরুর আগে নোঙর করা লাইটার জাহাজগুলোতে শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। সকাল থেকে কোনো কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে সাধারণ পণ্যেও (জেনারেল কার্গো) ১৮টি, খাদ্যশস্যের ৩টি, সারের ৭টি, সিমেন্ট ক্লিংকারের ২৪টি, চিনির ৩টি, লবণের দুটি জাহাজ অপেক্ষমাণ ছিল। ধর্মঘটের কারণে এসব জাহাজে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ ছিল। এছাড়া ৯টি কন্টেইনার জাহাজ ছিল বহির্নোঙ্গরে। নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহারে স্বস্তি ফিরে এসেছে শিল্পোদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। ঘাট শ্রমিকরাও পাঁচদিন বেকার বসে থাকার পর কাজ ফিরে পেয়ে খুশি। কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাটে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মরত। যারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পণ্য খালাস করে। ধর্মঘটের কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিল তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন