রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যাংক খাতে অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না -অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আর্থিক কেলেঙ্কারি এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সতর্ক থাকার পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
ব্যাংক খাতে অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ব্যাংকের এমডি হোক আর তার চেয়েও বড় কিছু হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের সাথে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের মতো অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকে যান।
দুনীর্তির কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ও বেসিক ব্যাংক এখন বিপদে আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই দুইটি ব্যাংকের স্বাস্থ্য খারাপ হলেও দেশের আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য ভালো আছে। তিনি বলেন, শোক দিবসের আলোচনায় এসে ব্যাংক খাতের প্রকৃত স্বাস্থ্য জানার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য কিভাবে রক্ষা করছে, তা জানার সুযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আর্থিক খাতের অবস্থা খুব ভালো। সোনালী ও বেসিক ব্যাংককে ঠিক করতে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এরই অংশ হিসেবে দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য এখন আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে ভালো। শোক দিবসের আলোচনার আগে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর ফজলে কবির, দুই ডেপুটি গভর্নর এবং নির্বাহী পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং খাত নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে মুহিত বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সোনালী ব্যাংককে একটি আদর্শ ব্যাংক হিসেবে দেখতে চাই। আর এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানোসহ যা কিছু করা দরকার সবই করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক এবং বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির ক্ষতি এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাই। ইতিমধ্যেই আমরা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পরিষদে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ লোকজন নিয়োগ দিয়েছি। নতুন এমডিরাও (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করছি ব্যাংকিং খাতে সুদিন ফিরে আসবে। অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাইলাইজেশনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংসহ ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাইলাইজেশনে আতিউর রহমান অনেক কিছু করেছেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন হচ্ছে কিনা- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে।
আলোচনায় অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসকে সুর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন