এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় যে অর্থ জমা দিয়েছিলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় তার কিছু অংশ ফেরত পাবেন। পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনাকালে দীর্ঘ বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার হলে বসা হয়নি দেশের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই আইন সংশোধনের পর শনিবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশ করেন। পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফলাফল দেওয়া এবং ডিজিটালি ফল প্রকাশের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।
আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে করা মূল্যায়নে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬।
প্রসঙ্গত, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বছরের পর এবার মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন