শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২

বগুড়ায় মাদক ট্র্যাজেডি

মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

বগুড়ায় মাদক ট্র্যাজেডিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২দিনে বগুড়া সদরে ১০ জন এবং শাহজাহানপুরে ২ জনসহ মোট ১২ জন বিষাক্ত মদ বা রেকটিফাইড স্পিরিট পানে মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শহরের পুরান বগুড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত রামপদ রবিদাসের পুত্র রামনাথ রবিদাস (৫৫) নামের আরও একজন মারা গেছে। এর আগে সোমবার মৃত রামনাথের ভাই প্রেমনাথ রবিদাস (৬০) ও তার পুত্র সুমন রবিদাস (৩৮) মারা যায়। ফলে এই একটি পরিবারেই মারা গেছে ৩ জন।

মাদক ট্রাজেডিতে মৃত অপর ৭ জন হলো বগুড়া শহরের পুরান বগুড়ার লোকমান প্রামাণিকের পুত্র রমজান আলী মিস্ত্রি (৪৫) কাটনারপাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র সাবু কুলি (৫৫), মৃত ওছিমুদ্দিনের পুত্র মোজাহার বাবুর্চি (৬৫), ফুলবাড়ী সরকার পাড়ার আব্দুল জলিল (৬০) ও তার পুত্র পলাশ (৩৫), ভবের বাজারের তবিবর রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন (৪৫) ও কাহালু পৌর এলাকার আবুল কালাম (৬০)।

এছাড়া শাজাহানপুর উপজেলাতেও বিষাক্ত মদপানে মেহেদি হাসান (২৫) ও আবদুল আহাদ (৩০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী উপজেলার দুরুলিয়া গ্রামের গোলজার প্রামানিকের ছেলে এবং পেশায় একজন থ্রী হুইলা-সিএনজি অটোরিকশা টেকনিশিয়ান ও আহাদ উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে এবং পেশায় একজন ভ‚মি সার্ভেয়ার। গতকাল মঙ্গলবার তারা মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতে উপজেলার রহিমাবাদ বি-বøক এলাকার বাসস্ট্যান্ডে রায়হান হোমিও হল নামের একটি দোকান থেকে মেহেদী অ্যালকোহল কিনে তা পান করে। এরপর অসুস্থ হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মেহেদীর মৃত্যু হয়। একই দোকান থেকে আবদুল আহাদ অ্যালকোহল কিনে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বাড়িতেই রাখা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে শয়ন ঘর থেকে আহাদ বের না হওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

শাজাহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত দুদিনে এ নিয়ে বিষাক্ত মদপানে বগুড়া সদরে ১০ জনসহ মোট ১২ জন মারা গেছে। এদিকে শহরের ফুলবাড়ী এলাকার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরি ও পুরান বগুড়ার হোমিও চিকিৎসক শাহীনুর রহমানের চেম্বার বন্ধ করে সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, মৃত রঞ্জু মিয়ার ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় পারুল, পুনম, খান হোমিও হল নামের তিনটিসহ কয়েকটি হোমিও হলের নামে মামলা দিয়েছেন। অভিযুক্ত হোমিও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অভিযান চলছে বলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন