রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

খাল ও বক্স কালভার্টের বর্জ্য-মাটি

১ মাসে অপসারণ ৫৭ হাজার টন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৫৭ টন বর্জ্য-মাটি অপসারণ করেছে। সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেয়ার পর এক মাসে ৩টি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে এসব বর্জ্য-মাটি অপসারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

গতকাল বুধবার রাজধানীর শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শণকালে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি এতথ্য জানান। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ওয়াসার কাছে থেকে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ত্রিশ দিনের মতো হলো। এই সময়ে ৫৭ হাজার মেট্টিক টন বর্জ্য অপসারণ করেছি। আগামী দু’মাসে তা দুই লাখ মেট্টিক টন ছাড়িয়ে যাবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এ কার্যক্রম চালিয়ে চাচ্ছি। তাপস বলেন, জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে আমরা ব্যাপক কর্মযজ্ঞ আরম্ভ করেছি। এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যেন সকল খাল পরিস্কার, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে পারি। পরবর্তীতে আমরা দীর্ঘমেয়াদী যে পরিকল্পনা নিয়েছি, খালের পাশের যে জমি দখল হয়েছে সেগুলো অবমুক্ত করে সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হেঁটে চলা, সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করবো। যাতে মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে এবং সেখানে যতটা সম্ভব নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তুলব। তিনি আরও বলেন, শ্যামপুর অনেক বড় খাল, এখানে শাখা-প্রশাখা বেশি। আবর্জনা-ময়লা স্তুপ হয়ে আছে। দীর্ঘ সময়ে এগুলো পরিস্কার করা হয়নি।

পানি প্রবাহ বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সামনের কর্মযজ্ঞ অত্যন্ত দুরূহ, ভয়াবহ পরিবেশ রয়েছে। এখানে একটি অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল রয়েছে। তাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেগুলোর সাথে এগুলোর সংযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে অব্যবস্থাপনা ও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করছি, তাদের খালগুলো যাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা অভিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।পানি দূষণের বড় কারণ শিল্প বর্জ্য। শিল্প বর্জ্য খালে এসে পড়ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, সবমিলিয়ে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে সবকিছু করা হয়েছে, তাতে কঠিন ও দূরূহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই এলাকার ব্যাপক কারখানা গড়ে উঠেছে।

এক সময় এই এলাকাকে শিল্প এলাকা হিসেবে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখানে যত্রতত্রভাবে কারখানা হয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পরিপালন করা হয়নি। যার কারণে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, খালগুলোতে শক্ত বর্জ্য বদ্ধ হয়ে গেছে, দূষিত পানি দ্বারা সেগুলো রুদ্ধ হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে দূরূহ অবস্থা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, মুন্সী মো. আবুল হাসেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন