কুমিল্লার মুরাদনগরে রাসেল নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মামলার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি সে। ঘটনার শিকার রাসেল ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
জানা যায়, রাসেল ও তার বাবা খোরশেদ আলম কৃষ্ণপুর বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী। পরমতলা গ্রামের সফিকুল ইাসলামের ছেলে রাসেল মুন্সী, আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইফুল ইসলাম, আব্দুস ছামাদের ছেলে আরাফাত বাবু ব্যবসায়ী রাসেল ও তার বাবা খোরশেদ আলমের নিকট এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ওই ব্যবসায়ীদের উপর ক্ষীপ্ত হয় তারা। তারই জেরে গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় রাসেলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে রাসেল মুন্সী ও তার সহযোগিরা তাকে বেধরক মারধর করে। তাতেও টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাসেলকে বস্তাবন্দী করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনাটি দূর থেকে প্রতিবেশী একজন গোপনে ভিডিও ধারণ করেন মোবাইলে। রাসেলের বাবা খোরশেদ আলম এ ভিডিও দেখে নিশ্চিত হন চাঁদা দাবি করা রাসেল মুন্সী ও তার সহযোগিরা তার ছেলে ব্যবসায়ী রাসেলকে অপহরণ করেছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখসহ গত বুধবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৮নং আমলী আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য মুরাদনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীর বাবা খোরশেদ আলম বলেন, রাসেল মুন্সীসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত আমাদের কাছে চাঁদা চেয়ে আসছিল। না পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে তারা আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আমি আদালতে মামলা করেছি। ফেসইবুকে ভাইরাল হওয়া রাসেলের নির্যাতনের ভিডিও দেখে আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। যে কোন মূল্যে আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। মামলায় অভিযুক্ত রাসেল মুন্সী, সাইফুল ইসলাম ও আরাফাত বাবুর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ঘটনার শিকার রাসেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে সে। তবে বিষয়টি আরো গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন