শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জিজ্ঞাসাবাদে অন্ধকার জগতের নানা তথ্য দিচ্ছেন ডিজে নেহার

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যজট খোলেনি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর রহস্যজট এখনো খোলেনি। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ বলছে, বিষক্রিয়া ওই ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ওই ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান ওরফে ডিজে নেহা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অন্ধকার জগত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ডিএমনপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। এসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সাথে বেশ কয়েকজনের নাম বেরিয়ে এসেছে, আমরা এ সব খতিয়ে দেখছি।

নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশের এমন একজন কর্মকর্তা জানান, গত তিন দিন রিমান্ডে নেহার ফোনবুকে পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ডজনখানেক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীর নম্বর পাওয়া গেছে। যেগুলো সাংকেতিকভাবে সংরক্ষণ করা। এসব ধর্নাঢ্যদের অনেকের কাছে মদ, তরুণী সরবরাহ করতেন তিনি। কখনও কখনও নেহা নিজেই তাদের সঙ্গ দিয়েছেন। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। তার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন তারই চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল বিশাল। বিশাল সার্বক্ষণিক নেহার সঙ্গেই থাকতেন। গত ২৮ জানুয়ারি উত্তরার ব্যাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মদপান করাতে নেহা ও তার খুব কাছের বন্ধু আরাফাত পার্টির আয়োজন করেন। মদপানের পর অসুস্থ হয়ে আরাফাতও মারা গেছেন। সেদিন নেহার ফোনেই তার চাচাতো ভাই শাফায়াত জামিল ওরফে বিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে মদ কিনে নিয়ে যায় ওই রেস্টুরেন্টে।

রিমান্ডে নেহা পুলিশকে জানিয়েছেন, খদ্দেরদের তালিকা সংরক্ষণ করতেন বিশাল। এছাড়াও অবৈধ দরদামে সে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার বাবার মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসাবে নিজেই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিশাল। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলে বন্ধু আরিফ এবং তাদের বাসায় আশ্রয়দাতা তাফসিরও কারাগারে আটক রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন