কূটনৈতিক সংবাদদাতা
পাকিস্তানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক-এফওসি আবারও পিছিয়েছে। ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দিতে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ আহমেদ চৌধুরীর আজ ঢাকায় আসার কথা ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সফরটি স্থগিত করার হয়। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ একটি সূত্রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই নিয়ে গত আট মাসে চারবার পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরের তারিখ পরিবর্তন হলো।
কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের ধারণা, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) খারিজ হবার পর এ নিয়ে অযথা বিতর্ক এড়াতেই পাকিস্তান এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। পাকিস্তানের সাথে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং পাকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রদূত তারিক আহসান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ আহমেদ চৌধুরী ঢাকায় আসবেন। পরে মঙ্গলবার রাতেই জানা যায়, পাকিস্তান জানিয়েছে বৃহস্পতিবার তারা এফওসি বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং পরবর্তীতে কখন অংশগ্রহণ করবে তা পরে জানাবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে প্রথম বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়। সর্বশেষ পঞ্চম বৈঠকটি হয় ইসলামাবাদে ২০১০ সালে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে হঠাৎ করেই ইসলামাবাদ এফওসি স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে কারণ স্পষ্ট করেননি তারা। দু’দেশের সুবিধাজনক সময়ে আবারও তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বারবার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক এক ধরনের তিক্ততায় নিয়ে গেছে পাকিস্তান। বারবার তারিখ পেছানোর পর যখন আবার এফওসি’র চূড়ান্ত তারিখ ঠিক হলো, তখনই ঢাকায় আরেক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়েছে। হয়তো যেকোনো সময় কার্যকরও হবে। এমন অবস্থায় ঢাকায় এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে চাইছেন না পাক পররাষ্ট্রসচিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন