শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কোলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশ বইমেলা

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোলকাতা থেকে কালীপদ দাস : বৃহস্পতিবার থেকে কোলকাতায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বইমেলা। কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির যৌথ উদ্যোগে কোলকাতার রবীন্দ্র সদন পরিসরে এই ষষ্ঠ বাংলাদেশ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
গত বুধবার কোলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি কাজী ওসমান গনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের লেখক ও তাদের বই যথেষ্ট পরিচিত কিন্তু বাংলাদেশের বই এবং কবি লেখকদের সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকরা এখনও প্রায় অন্ধকারে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি-লেখকদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের পরিচিত করানোই হলো এই বাংলাদেশ বইমেলার মুখ্য উদ্দেশ্য।
গত ৫ বছরে বইমেলার পরিনাম কী এবং পরবর্তীতে এই বই মেলায় বই বিক্রি বেড়েছে কিনা ইনকিলাবের এই প্রশ্নের উত্তরে ওসমান গনি জানিয়েছেন, বইয়ের বিক্রি অনেকটা বেড়েছে বলেই আমরা ষষ্ঠবারও এই মেলার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথম বাংলাদেশ বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকের সংখ্যা ছিল ১৮ আর বাড়তে বাড়তে এবারে এই মেলায় অংশ গ্রহণ করছে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৪৮টি প্রকাশক সংস্থা। শুধু তাই নয়, এই বইমেলার কারণে পশ্চিমবঙ্গেও পাঠক ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে বাংলাদেশের বই ও কবি- লেখকদের সম্পর্কে আগ্রহও অনেকটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ষষ্ঠ বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধন করেন ভারত সরকারের পদ্মভূষণ খেতাবপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান। প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হিসাবে যথাক্রমে রাজ্যের স্কুল ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কোলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার জকি আহাদ, কবি শঙ্খ ঘোষ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বইমেলা চলবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। শনিবার বেলা ৪টা থেকে রাত ৯টা। এই ১০ দিন বইমেলা চলাকালীন প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সেমিনারের ব্যবস্থাা করা হয়েছে। থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। বাংলাদেশ থেকে সঙ্গীত পরিবেশন করতে আসছেন স্বনামধন্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন এবং মেহের আফরোজ শাওন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন