মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মাদক ও আধিপত্য বিস্তারে দ্বন্দ্ব খুলনাতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা : মামলা হলেও গ্রেফতার নেই

প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : মাদক বিকিকিনি ও আধিপত্য বিস্তারে পূর্বশত্রুতার জেরধরে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৈকত হাসান রোহান (২৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্ত্বরা। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে পিটিআই মোড়ের এঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। টুটপাড়া কবরস্থানে দাফনের পর সন্ধ্যায় নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মাদক বিকিকিনি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকা- ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, শহর থেকে পূর্ব বানিয়াখামার বাড়িতে ফিরছিলেন রোহান। পিটিআই মোড়ে পৌঁছলে ৭/৮জন অস্ত্রধারী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপুরি কুপিয়ে রোহানকে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ১২টার দিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোহানের মৃত্যু হয়। রোহান মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, সরকারি সিটি কলেজের নেতা ও ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত। রোহান-পলাশ গ্রুপ নামে তিনি নিজেই একটি গ্রুপ তেরি করেছিলেন। তার প্রতিপক্ষ গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। বেপরোয়া কর্মকা- ও মাদক ব্যবসা নিয়ে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে রোহান একটি মূর্তিমান আতংক হয়ে ওঠে। মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পূর্বে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, রোহানের নামে মাদক, সন্ত্রাসী-নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে খুলনা থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। মাদক সংক্রান্ত ও পূর্ব বিরোধের জেরধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। রোহানের হাত ও পায়ের সব রগ কেটে ফেলে দুর্বৃত্ত্বরা। প্রথমে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কিছুক্ষণ পরে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসরা।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে এবং হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনেক আসামী করে মামলা করেছেন। এঘটনায় সম্পৃক্ত এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এস আই মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত ও ঘাতকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল জানান, নিহত সৈকত রোহান আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর জেডএ মাহমুদ ডনের উপর হামলাসহ একাধিক মামলার আসামি ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Monir ১০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৮ এএম says : 0
Pap bab ke o chare na
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন