কর্পোরেট রিপোর্ট : উৎসে কর আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে পাঁচটি পৃথক কর-অঞ্চল (জোন) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাঁচটি জোনের মধ্যে চারটি ঢাকায়, আর একটি হবে চট্টগ্রামে। এ কর-অঞ্চলগুলো উৎসে কর কর্তন পরিবীক্ষণ অঞ্চল নামে অভিহিত হবে। এ বিষয়ে সার্বিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে এনবিআর। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে যে পরিমাণ আয়কর আহরণ হয়, তার ৫৭ শতাংশই আসে উৎসে কর কর্তন থেকে। কিন্তু একই কর-অঞ্চল থেকে সাধারণ নিয়মে কর আহরণ ও উৎসে কর কর্তন কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় প্রত্যাশিত পরিমাণে উৎসে কর আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে আলাদা জোন গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে এনবিআর। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে কর আহরণে নিয়োজিত কর-অঞ্চলগুলো দুভাবে কর আহরণ করে। এর প্রথমটি হলো, দাবি সৃষ্টি ও সে অনুযায়ী কর আহরণ। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো উৎসে কর কর্তন। বর্তমানে একই কর-অঞ্চলের মাধ্যমে এসব কাজ করা হচ্ছে। ফলে উৎসে কর কর্তনে বেশি জোর দেয়া যাচ্ছে না। এতে করে কাংক্ষিত পরিমাণ রাজস্ব আহরণ সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে দাবি সৃষ্টি প্রক্রিয়া ও উৎসে কর কর্তন ব্যবস্থাকে আলাদা করা আবশ্যক। এজন্য পাঁচটি পৃথক কর-অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কর-অঞ্চলগুলো উৎসে কর কর্তন পরিবীক্ষণ অঞ্চল নামে অভিহিত হবে। উৎসে কর কর্তনকে পৃথক করা হলে রাজস্ব আহরণ উলেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে এনবিআর মনে করে। আর এ পৃথকীকরণ কার্যকর করতে হলে বিভিন্ন গ্রেডের দুই হাজার ৩৫০ জন নতুন জনবল সৃষ্টির প্রয়োজন হবে। প্রথম বছরে এ উদ্যোগ সম্পন্ন করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ ১২৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৪৪ কোটি ২৭ লাখ এবং অনাবর্তক ব্যয় ৮৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন