শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চসিক নির্বাচনে ফল বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মামলা

বিবাদী সিইসি মেয়রসহ ৯ জন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচন চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন পরাজিত বিএনপিধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। মামলায় মেয়র হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেটও বাতিল করার আবেদন করা হয়। মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ নয় জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রথম যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমীনের আদালতে শাহাদাত হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান আদালত আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন-চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, মেয়র প্রার্থী আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং মো. জান্নাতুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ তৎসহ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৫৩ নম্বর বিধি ও ২ নম্বর উপবিধি মোতাবেক মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালত থেকে বের হয়ে মামলার বাদী শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে শুধু চুরি নয়, মহাডাকাতি হয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করে পুনরায় নির্বাচন চাচ্ছি। আমরা ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই।

তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বুথ থেকে ফলাফলের প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়। কিন্তু চসিক নির্বাচনে চার হাজার ৮৮৫টি বুথের মধ্যে ৯৮ শতাংশ বুথের ফলাফল দেওয়া হয়েছে হাতে লিখে। সেখানে মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটকে বাড়িয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। বুথ থেকে ফলাফল ঘোষণার সময় তিনটি কেন্দ্রে আমার প্রাপ্ত ভোট শূন্য দেখানো হয়েছিল। তিনদিন পরে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত যে কপি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে ২৮টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট দেখানো হয়।

বাদীর আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, চসিক নির্বাচন একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। এখানে পুলিশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে ভোটের দিন। ইভিএম পদ্ধতিতে মাত্র ১-২ শতাংশ ভোটকে পরবর্তী সময়ে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে এবং নিজেদের বানানো ফলাফলের মাধ্যমে রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য ২৭ জানুয়ারি মেয়র পদে ঘোষিত ফলাফল এবং ৩১ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে মেয়র পদে পুনরায় নির্বাচন চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।

ব্যাপক সংঘাত সহিংসতায় গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে তিন লাখ ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন