শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করতেই পিলখানা হত্যাকান্ড : সাংবাদিকদের মেজর (অব.) হাফিজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৭ এএম

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দূর্বল করার জন্যই পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই ধরনের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এর সুষ্ঠু বিচার এবং তদন্তপূর্ব সুষ্ঠু বিচার কামনা করি। এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দূর্বল করার জন্যে। এর ব্যানিফিসায়ারি কারা সেটিও দেশবাসী পরিস্কার জানতে চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পিলখানা হত্যা দিবস উপলক্ষে সকাল পৌনে ১১টায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

মেজর হাফিজ বলেন, ইতোমধ্যে নি¤œ বিচারিক আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দিয়ে দেয়া হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, সবাইকে আনা হয় নাই, কয়েকজনকে আনা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে যারা পরিকল্পনাকারী দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী তারা এখন পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে রয়েছে। দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচিতি স্পষ্ট নয়। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাবো হত্যাকান্ডের যারা পরিকল্পনাকারী দেশি-বিদেশি শক্তিসমূহ, ষড়যন্ত্রকারী তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।”

হাফিজ বলেন, এই হত্যাকান্ডে নিহত ব্যক্তিবর্গের সাথে সাথে একজন সুবেদার মেজর যিনি অফিসারদেরকে রক্ষা করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছিলো তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় নাই। আমি এ ব্যাপারে সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।একই সঙ্গে যারা নিহত হয়েছিলেন সেই শহীদ পরিবারসমূহ কষ্টে মনোবেদনার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন।

পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় দোষীদের চূড়ান্ত বিচারের রায় এই বছরের মধ্যেই করার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দীর্ঘ ১২টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। বিচরের দীর্ঘসূত্রিতা আমাদেরকে হতাশ করেছে, দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে।এই হত্যাকান্ড অত্যন্ত স্লোক এবং স্লোত গতিতে চলছে। এই বছরের মধ্যে লিফ টু আপীল এবং আপীলের কার্য্ক্রম শুরু হবে বলে এমন কোনো আশা, এমন কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পারছি না। এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্যে বিচার বিভাগের প্রতি আমরা আবেদন জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, এই বছরের মধ্যেই এই হত্যাকান্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা হবে, চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান দেশে আমরা সুশাসন কামনা করে বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন অতি অল্প সময়ের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে- এই কামনা করি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান তিনি।

২০০৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সে বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রæয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনী সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মো. ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাঈদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হাসান, বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীমুর, শাহ খালেদ হাসান চৌধুরী, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack+Ali ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:১৬ পিএম says : 0
You are 100% correct, Government is involved. May wipe out them and curse them so that they remain in hell fore ever. They are blinded by power as such they are committing all the sort of heinous crime, they have forgotten that they can die anytime that they will have to face the The Al-Mighty Allah.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন