কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এক বিবৃতিতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে ‘বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ’র কাছে দ্রুত, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে। সেই সাথে কারাবন্দী কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেছে সংগঠনটি। কিশোর পুলিশি হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে যে দাবি উঠেছে, তারও তদন্ত চায় বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠনটি। গতকাল এই বিবৃতি দেয়া হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মে মাস থেকেই মুশতাককে আটকে রাখা হয়েছিল উল্লেখ করে সিপিজে মুশতাকের আইনজীবী ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার বরাতে জানায়, তার সাথে কি ঘটেছিল এবং মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ২৩ তারিখেও মুশতাককে আদালতে হাজির করা হলে তিনি সুস্থ-ই ছিলেন। সিপিজে’র এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেন, বাংলাদেশের কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে তাকে আটকানোই উচিত ছিল না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই মুশতাক আহমেদ কিভাবে মারা গেলেন তার তদন্তের অনুমতি দিতে হবে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বারবার এবং অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
গণমাধ্যমের খবর, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং শুনানিতে হাজির মানবাধিকার কর্মী ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসের কনসালট্যান্ট রেজাউর রহমান লেনিনের বক্তব্য থেকে সিপিজে জানায়, কারাগারে আটক কার্টুনিস্ট কিশোরের শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়। শুনানিতে কিশোর তার ভাইকে জানান, পুলিশি হেফাজতে তার উপর গুরুতর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে যার ফলে তিনি পায়ে এবং কানে আঘাত পেয়ছেন, মেডিকেল সুবিধার অভাবে যেগুলো সংক্রমণে রূপ নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন