ডাল পাতা ঢেকে গেছে মুকুলে মুকুলে। এবার পাতার চেয়ে মুকুলের সৎখ্যা অনেক অনেক বেশি। সে এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। হলুদ ও সোনালির মিশ্রণে ভিন্ন রঙে চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো দৃশ্য।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে আমরাজ্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথে পথে দেখা গেছে আমবাগান মুকুলে ভরে গেছে। মুকুলে মুকুলে এতটাই ঠাসা যে সবুজ পাতাই দেখা যাচ্ছিল না। নাটোর থেকে রাজশাহী হয়ে গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সোনামসজিদ পর্যন্ত রাস্তার দুই দিকে যতদূর চোখ যায় মুকুল ভর্তি আমবাগান আর আমবাগান। আম্রকাননে শুধুই মুকুল আর মুকুল। থোকা থোকা হলুদ রঙের মুকুলের ভারে অনেক বাগানের ডালপালাও নুয়ে পড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ মোবাইল ফোনে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শুধু রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয়, এখন পাহাড়ি এলাকা, সাতক্ষীরা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমবাগানে প্রচুর মুকুল এসেছে। এবার ২০ লক্ষাধিক মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সারাদেশে মোট এক কোটি ২৩ লাখ মেট্রিক টন ফল উৎপাদন হয়। তার মধ্যে আম ও কাঁঠাল হচ্ছে সিংহভাগ।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম বললেন, আমের ফলন বাড়াতে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসলের জাত উদ্ভাবনে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সফলতা অর্জন করেছে। সেজন্যই ফল ও ফসলের সম্প্রসারণ হচ্ছে দ্রুত।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. আলীম উদ্দীন জানালেন, এবার গাছে যে মুকুল এসেছে তার একভাগ থাকলেই আমের ফলন হবে পরিপূর্ণ। তার কথা, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারক হিসেবে অবমুক্ত করা হয়েছে। এটি আমাদের গবেষণার ফসল।
আমচাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর রহমান বললেন, আমের মুকুলে গাছ ভরে গেছে। মন আমাদের খুবই ভালো। আমগাছের ডালে গালে হাজার হাজার মুকুল এসেছে। কিছু গাছে গুটি আসতে শুরু করেছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জিএম মোর্শেদুল বারী বললেন আম্রকাননে মুকুল দেখে মন ভরে যাচ্ছে। এবার আমের উৎপাদন ভালো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন