আজ মঙ্গলবার সারাদেশে তৃতীয়বারের মতো পালন করা হবে জাতীয় ভোটার দিবস। এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিএইসি) কে এম নূরুল হুদা রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটার দিবসের উদ্বোধন করবেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সারাদেশে নির্বাচন কমিশনের উপজেলা, আঞ্চলিক, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে নানা ধরনের সভা সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ভোটার দিবসে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কেউ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব এসএম আসদুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, করোনাকাল হওয়ায় এবার জাতীয় ভোটর দিবসটি স্বল্প পরিসরে পালিত হবে। গতবছর ঘটা করে এই দিবসটি পালিত হলেও এবার কাটছাঁট হচ্ছে। করোনার কারণে এবার বড় কোনো সমাবেশ থাকছে না। ভোটারদের সচেতন করতে বাংলাদেশে টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। আলোক সজ্জ্বিত করা হবে রাজধানীর নির্বাচন ভবন। আর ওই ভবনের আশপাশে সড়কগুলোতে ব্যানার ফ্যাস্টুন টানানো হবে। ইসির কর্মকর্তাদের নিয়েই আলোচনা অনুষ্ঠানোর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নির্বাচন অফিসে ভোটার করাসহ স্বল্প পরিসরে দিবসটি পালিত হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটার দিবস উপলক্ষে সারাদেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে স্বল্প পরিসরে ভোটার হওয়ার সুযোগ থাকবে। ভোটার হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার দিবসে কেউ ইসির অফিসে গিয়ে তখনই ভোটার হতে পারবেন। নতুন ভোটারদের নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করা হবে। এরপরই তাদের ভোটার করা হবে। এ জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি নতুন বছরে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৩, নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৭০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৩৭৫ জন। ২০২১ সালে খসড়া ভোটার তালিকায় ২০১৯-২০২০ সালের নতুন ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতি বছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একবছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ শ্রেণিতে থাকে। এজন্য ভোটাদের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে এসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন