চট্টগ্রাম ব্যুরো : বর্ষার মেঘবাহী মৌসুমি বায়ুমালা এবং অমাবস্যার দ্বিমুখী সক্রিয় প্রভাবে মধ্যভাদ্রে গতকালও (শুক্রবার) বৃহত্তর উপকূলসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায় ৭৭ মিলিমিটার। উত্তর বঙ্গোপসাগর এখনও উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখানো হচ্ছে। সাগর অশান্ত থাকার সাথে অমাবস্যার প্রভাব যোগ হয়ে চর, উপকূল, দ্বীপাঞ্চলে প্রবল সামুদ্রিক জোয়ার বইছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দমকা হাওয়ার কারণে আমদানি পণ্য লাইটারিং খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশের বলয় বা অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত আছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন