চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও গোমস্তাপুর সংবাদদাতা : আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গি মোকাবিলাই পুলিশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন জঙ্গিরা কথিত খেলাফতের নামে জিহাদ করে ক্ষমতায় যেতে চায়। ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের আদর্শ জনগণের কাছে তুলে ধরে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করা উচিত। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি করে ও বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে। শহীদ হলে আখেরাতে বিচার ছাড়ায় সরাসরি জান্নাতে যাওয়া যাবে, এমন ভুল তথ্য দিয়ে তাদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এসব মানুষকে দেশের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জঙ্গি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র মাঠে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং আয়োজিত এক জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ^াস, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশিদ হোসেন, বিএমডিএর চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দীন ম-ল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য সচিব নসম মাহবুবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহা পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক আরো বলেন যারা আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া রুদ্ধ করেছিল তারায় এখন জঙ্গি দমনে পুলিশের অভিযানকে সাজানো নাটক বলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। এরা দেশের বন্ধু হতে পারে না। তিনি বলে গুলশান ও নারায়নগঞ্জের অপারেশন পরিচালনার আগে আত্মসমর্পণের জন্য জঙ্গিদের কয়েক ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। এরপরেই পুলিশ অভিযান চালায়। তাই এসব অভিযান পরিচালানায় কোন নাটক করা হয়নি। সমাবেশের আগে তিনি ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোর্ট পুলিশ কার্যালয়ের সামনে মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখানে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কারা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত, এ ব্যাপারে আপনারা সবাই চোখকান খোলা রাখুন। এদের চিহ্নিত করবেন, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সংলগ্ন ফেনসিডিলের কারখানার ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু কারখানা বন্ধ হলেও এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এসব কারখানা বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রাখা হবে। ধ্বংস করা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল ৪০ হাজার ১৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ১৫৬ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ১৩৪টি ইয়াবা, ১২০ গ্রাম হেরোইন, ৯৯০ বোতল দেশি-বিদেশি মদ ও ৯৩৪টি ইঞ্জেকশন ও বিয়ার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন