শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঈদকে সামনে রেখে ৩ কোটি টাকার জাল নোট ছেড়েছে ৩টি গ্রুপ

গুলশান হামলার বোমা সরবরাহকারী সোহেল মাহফুজ

প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সংবাদ সম্মেলনে জানালেন মনিরুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার বোমা প্রস্তুতকারী ও গ্রেনেড সরবরাহকারী ছিলেন সোহেল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) থেকে নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। এদিকে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তিনটি গ্রুপ তিন কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলায় গ্রেনেড সরবরাহকারীকে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তার নাম সোহেল মাহফুজ। যিনি পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ছিলেন। পরে তিনি গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নব্য জেএমবির সদস্য হন। তিনিই গুলশান হামলার গ্রেনেড সরববাহ করেছেন।
এর আগে গুলশানে হামলা মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুলশান হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরী ও যোগাযোগ সমন্বয়ক তাওসিফ হোসেন নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত হন। হামলার অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন নুরুল ইসলাম মারজান, পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জোনায়েদ খান, খালেদ ও মানিক। এ ছাড়া নব্য জেএমবি নেতা রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধী গুলশানে হামলা চালাতে দুজনকে নিয়োগ দিয়ে তামিম চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ওই হামলার বিষয়ে জানতেন নব্য জেএমবির আরেক নেতা রিপন। উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলাশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান রেস্তেরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। মারা যান দুই পুলিশ কর্মকর্তাও।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে জাল নোট চক্রের তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে তিন কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। কোরবানির ঈদে রাজধানীসহ সারা দেশে জাল টাকার দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এ চক্রের সদস্যরা শুধু রাজধানীর পশুর হাট নয়, গ্রামের হাটগুলোকেও তারা টার্গেট করছে। ইতোমধ্যে রেজাউল করিম মুন্না নামে এক ব্যক্তির বাসা থেকে জালনোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। জালনোট তৈরি করে বিশেষ কায়দায় গরুর হাটে প্রথমে পাইকারি বিক্রেতা, তারপর খুচরা বিক্রেতা এবং পরে তা অন্য একটি চক্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করছে। কিছুদিন আগে ৬০ লাখ টাকার জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে ৫২ লাখ টাকার জালনোট। এ সময়ে পল্টন ও কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলোÑরেজাউল করিম মুন্না (২৬), আব্দুল কাদের (২৮), মো. লতিফ (২৫), মো. ফজর আলী (২৯), মো. মহরম মিয়া (৩৮), সুমি বেগম (২০), মো. বারেক (২৫), মো. সাদ্দাম (২৩)।
অপরদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আলাদা অভিযানে ৩১ জন অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ২১ জনকে ছয় মাস থেকে দু’বছর কারাদ- দিয়েছেন ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন