ফাল্গুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পেরোতেই আবহাওয়ায় চৈত্র-বৈশাখের মতোই বৈরী আবহাওয়ার ঘনঘটার আলামত দেখা দিয়েছে। আজ রোববারসহ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি ও কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। প্রায় সারাদেশে তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
উল্টো আবার রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গতকাল শনিবার ভোররাত থেকে সকাল অবধি দীর্ঘক্ষণ হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়েছে। কোথাও কোথাও গাঢ় কুয়াশায় ছেয়ে যায় গ্রাম-জনপদ, নদ-নদী অববাহিকা। মিশ্র এলোমেলো আবহাওয়ায় এবং কুয়াশায় ভর করে ধুলাবালি ও ধোঁয়ার দূষণ বাড়ছে। যা বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে জনস্বাস্থ্যের প্রতি অব্যাহত ক্ষতির কারণ।
গতকাল ঢাকায় দিনের বেলায় তাপমাত্রার পারদ বেড়ে হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে রাতের পারদও ঢাকায় ২৪ ডিগ্রিতে উঠে গেছে। তাপদাহের আলামত শুরু হয়ে গেছে ভরা বসন্ত ঋতুতেই। বৃষ্টি হবে-হচ্ছে এমনটি পূর্বাভাস দেয়া হলেও টানা তিন মাস যাবত খরা-অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে দেশ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪.৪ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৬.২ ডিগ্রি সে.।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, কুমিল্লা অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন